Student Death: গলায় ওড়নার ফাঁস! সঞ্জয়ের ভাগ্নির ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে যা এল, তা মানেই নারাজ ঠাকুমা

Alipore Minor Girl Mysterious Death: আরজি করের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী সঞ্জয় রায়ের বড় দিদির মেয়ে ওই নাবালিকা। জানা গিয়েছে, সঞ্জয় রায়ের বড় দিদিও আত্মঘাতী হন। তাঁরই মেয়ে এই নাবালিকা। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর মেয়ের দেখাশোনা করতেন নাবালিকার মাসি, অর্থাৎ সঞ্জয়ের আর এক দিদি।

Student Death: গলায় ওড়নার ফাঁস! সঞ্জয়ের ভাগ্নির ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে যা এল, তা মানেই নারাজ ঠাকুমা
মৃত ছাত্রীর মাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Oct 21, 2025 | 6:21 PM

কলকাতা: আলমারির ভিতরে জামাকাপড়ের মধ্যেই মুখ গুঁজে পড়ে ১১ বছরের নাবালিকার দেহ। দেখেই শিউরে উঠেছিলেন আত্মীয়রা। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পর থেকেই প্রতিবেশীরা খুনের অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। আঙুল ওঠে নাবালিকার বাবা ও সৎ মায়ের দিকে। অবশেষে সামনে এল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। সেখানে রয়েছে আত্মহত্য়ার ইঙ্গিত।

আলিপুরের বিদ্যাসাগর কলোনীর ঘটনা। রবিবার রাতে অচৈতন্য অবস্থায় আলমারির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। ঘরের দরজা খুলে মেয়ের দেহ উদ্ধার করেন খোদ সৎ মা। জানা যায়, আলমারির ভিতর হ্যাঙারে ঝুলছিল নাবালিকার দেহ। তার ঠাকুমার দাবি, নাতনির গলায় জড়ানো ছিল একটি গোলাপি ওড়না।

গলায় ফাঁসের চিহ্ন সহ প্রমাণ দেখে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশীদের দাবি, বাবা ও সৎ মা মিলে খুন করেছে ওই নাবালিকাকে। নাবালিকার ঠাকুমা বলেন, “মাত্র ১১ বছর বয়স। কীভাবে গলায় ফাঁস দেবে!” তিনি আরও বলেন, তাঁর ঘরে যাওয়ার অনুমতিও ছিল না তাঁর নাতনির। তাঁর ঘরে এখনও সাজানো রয়েছে সব খেলনা। কিন্তু বারণ থাকায় যেতে পারত না ওই নাবালিকা।

আরজি করের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী সঞ্জয় রায়ের বড় দিদির মেয়ে ওই নাবালিকা। জানা গিয়েছে, সঞ্জয় রায়ের বড় দিদিও আত্মঘাতী হন। তাঁরই মেয়ে এই নাবালিকা। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর মেয়ের দেখাশোনা করতেন নাবালিকার মাসি, অর্থাৎ সঞ্জয়ের আর এক দিদি। নিজের জামাই বাবুর সঙ্গেই বিয়ে করেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই নাবালিকার রহস্যমৃত্য়ু ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠেছে বাবা-মায়ের ভূমিকা নিয়েও।

মঙ্গলবার কিশোরীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই ওই সৎ মা ও বাবার বিরুদ্ধেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। তারা মারধরও করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ‘নাবালিকার উপর অত্য়াচার করা হত। রাত দু’টোর সময় ওঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিল।’ টানতে টানতে মা স্কুলে নিয়ে যেত বলেও অভিযোগ।