Primary TET: ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা জানাতে হবে হাইকোর্টে, নথিই দিতে পারেনি সিবিআই, নিম্ন আদালতে কমিশন

Primary TET: সিবিআই-এর বক্তব্য, এসএসসি'র মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ নিয়ে যেহেতু ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে তদন্ত চলছে, তাই সেই মামলা দায়রা আদালতেও বিচারাধীন।

Primary TET: ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা জানাতে হবে হাইকোর্টে, নথিই দিতে পারেনি সিবিআই, নিম্ন আদালতে কমিশন
আচার্য সদন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2022 | 12:29 PM

কলকাতা: ভুয়ো নিয়োগ কত? নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে জানাতে হবে আদালতে। কিন্তু এখনও ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা আদৌ কত, সেই তালিকাই তৈরি হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এসএসসি কমিশনের ডাকা বৈঠকেও তা নির্ধারিত হয়নি। কমিশনের দাবি, ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে সিবিআই নথি জমা না দেওয়ায় বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। এদিকে, সিবিআই-এর বক্তব্য, এসএসসি’র মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ নিয়ে যেহেতু ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে তদন্ত চলছে, তাই সেই মামলা দায়রা আদালতেও বিচারাধীন। সিবিআই এই তদন্তের প্রেক্ষিতে যে নথি জোগাড় করেছে, তা ‘এভিডেন্স’ হিসাবে জমা রাখতে হয়েছে। এবার তাই নিম্ন আদালতেরই দ্বারস্থ হতে চলেছে কমিশন।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, আসলে ভুয়ো নিয়োগ কত, সেই সংখ্যা খুঁজে বার করতে হবে। সেক্ষেত্রে পর্ষদের আইনজীবী, সিবিআই-এর আইনজীবীদের উপস্থিতিতেই বৈঠক হবে। কতজনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। আইনজীবীদের সঙ্গে বসে আধিকারিকদের সেই তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হলেও সেই তালিকা তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, সিবিআই-এর দেওয়া আগের তথ্য অনুসারে, ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা ৮১৬৩। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক ও গ্রুপ সি-ডি কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি প্রযোজ্য। অন্যদিকে, আবার এসএসসি-র নিজস্ব তদন্ত অনুসারে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা ১১৭৯। সংখ্যাটা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।

দুটি তথ্য়ের ভিত্তিতেই সংখ্যা দুটি আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তখনই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ১৬ নভেম্বরের মধ্যে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা কত সেটা ঠিক করে আদালতকে জানাতে হবে।

কিন্তু কমিশনের বক্তব্য, এখনও সিবিআই তাদের নথি-তথ্য দিতে পারেনি। যেহেতু সিবিআই-এর নথি নিম্ন আদালতে জমা রয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন করে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে কমিশন।