কলকাতা: লালবাজারের সামনে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে একরাত কাটিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দ্বিতীয় দিন বিকেলে লালবাজারে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন তাঁরা। আর এবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে দ্বিতীয় রাত কাটাচ্ছেন সেই আন্দোলনকারীরা। তাঁদের পাঁচটি শর্ত মানা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। আর শর্ত ছাড়া বৈঠকে বসতেও নারাজ আন্দোলনকারীরা। রাজ্যের অভিভাবক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান তাঁরা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি, কোনও অবস্থাতেই আন্দোলন ছাড়বেন না তাঁরা।
আন্দোলনকারী ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট আমাদের বলেছিল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্য়ে কাজে যোগ দিতে। আমরাও বলেছিলাম ৫টার মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নিন। ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে মর্যাদা না দেওয়াটাও অন্যায়। সরকার যদি মনে করে ব্যবস্থা নেবে নিক। যদি মনে করে ছাত্রছাত্রীদের ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে, তাহলে ফাঁসিতে ঝোলাবে। যদি মনে করে পিজিটি সিট টার্মিনেট করে দেবে, তাহলে দেবে। যদি মনে করে গুলি চালাতে হবে, তাহলে চালাবে।”
নবান্নের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে যাতে আন্দোলনকারীরা কাজে যোগ দেন। কিন্তু ডাক্তারদের দাবি, নিরাপত্তার দিকটি নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই এই আন্দোলন করছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এক বৈঠকে বলেছেন, ‘ওরা কেন এত জেদ করছে? ওরা যা বলবে, তাই মেনে নিতে হবে?’ এর জবাবে চিকিৎসকরা বলেন, “জেদ আমরা করছি? ৩০ দিন আন্দোলনের পরও এ কথা শুনতে হবে? এটা কোনও জেদ নয়। এটা অধিকারের দাবি, সব শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের অধিকার।”