Chhath puja 2025: আর ঢোকা যাবে না গেট টপকেও, ছটপুজোর আগেই বন্ধ করা হল রবীন্দ্র সরোবর গেট, জারি বিজ্ঞপ্তি

Kolkata: স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "আমরা বছরের পর বছর এই লেক নোংরা হতে দেখেছি। খুবই নোংরা হয়। সেই কারণে এই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা খুবই ভাল সিদ্ধান্ত।" আরও এক বাসিন্দা বলেন, "ভাল হয়েছে। খুব খুশি। পাখিরা থাকতে পারে না। এদের সমস্যা হয়। আর পুরো জলাশয় নোংরা হয়ে যা।"

Chhath puja 2025: আর ঢোকা যাবে না গেট টপকেও, ছটপুজোর আগেই বন্ধ করা হল রবীন্দ্র সরোবর গেট, জারি বিজ্ঞপ্তি
ছট পুজো উপলক্ষ্যে বসল ব্যারিকেডImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 26, 2025 | 4:31 PM

কলকাতা: ছট পুজোর আগেই রবিবার থেকে বন্ধ থাকছে রবীন্দ্র সরোবর লেক। এ দিন সকাল দশটা থেকে মঙ্গলবার সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে এই লেক। জল দূষণ রুখতে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনেই এই সিদ্ধান্ত কলকাতা মেট্রপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথারিটি (KMDA)। আর এই সিদ্ধান্তে খুশি পরিবেশ কর্মীরা।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা বছরের পর বছর এই লেক নোংরা হতে দেখেছি। খুবই নোংরা হয়। সেই কারণে এই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা খুবই ভাল সিদ্ধান্ত।” আরও এক বাসিন্দা বলেন, “ভাল হয়েছে। খুব খুশি। পাখিরা থাকতে পারে না। এদের সমস্যা হয়। আর পুরো জলাশয় নোংরা হয়ে যা।এখানে খুবই জল দূষণ হয়। এটা তো হেরিটেজ। গতবার অনেক কচ্ছপ মরে গিয়েছিল। তাই বন্ধ হওয়াই উচিত। তবে আমরা তো এখানে প্রাতঃভ্রমণ করি। সেই কারণে দু’দিন একটু অসুবিধা হলেও হতে পারে।” পরিবেশ প্রেমী বলেন, “পশু-পাখিদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত খুবই ভাল।” এক বৃদ্ধা বলেন, “এত গাছপালা নষ্ট করে, এত নোংরা হয় আমাদের খুব কষ্ট হয়। অন্তত গাছের কথাটা তো চিন্তা করবে। ভিতরে বাজি ফাটায়। পাখিরা ভয় পেয়ে যায়।

প্রতিবছরই ছটপুজোর আগে বন্ধ করে দেওয়া হয় রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরের গেট। এবারও তার অন্যথা হয়নি। তবে শুধু গেট বন্ধ করেই এবার ক্ষান্ত থাকবে না প্রশাসন। জানা যাচ্ছে, এর পাশাপাশি ব্যারিকেড আর পুলিশি নিরাপত্তাও রাখা হবে। কারণ, সাম্পতিক অতীতে সরোবরের গেট টপকে প্রবেশ করারও চেষ্টা করেছেন অনেকে। তার ফলে ঝামেলাও হয়নি। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে এবার না হয় তাই আরও নজরদারি বাড়ানো হবে।

প্রতিবছর কলকাতার সবচেয়ে বড় ছটপুজোর আয়োজন দহিঘাট ও তক্তাঘাটে। সেখানে উপস্থিত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এছাড়াও ছটের জন্য বড়বাজার থেকে বাগবাজার পর্যন্ত গঙ্গার কয়েকটি ঘাটে পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।  সেখানে পুণ্যার্থীদের জন্য আলোর বন্দ্যোবস্ত করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে থাকছে ডুবুরিও।