
কলকাতা: রাজভবনের সঙ্গে টানাপড়েনের জেরে অপসারিত হয়েছিলেন উপাচার্য সুহৃতা পাল। তাঁর জায়গায় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন মুকুল ভট্টাচার্য। এসএসকেএম-এর অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান মুকুল ভট্টাচার্যই এবার সামলাবেন স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর পদ।
রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মতো স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পালকেও সরিয়ে দিয়েছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। দু’দফায় ইন্টারভিউয়ের পর তৈরি হয় চূড়ান্ত প্যানেল। শেষ পর্যন্ত অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুকুল ভট্টাচার্যের নামে সিলমোহর দেয় রাজভবন।
এসএসকেএমের অর্থোপেডিকের বিভাগীয় প্রধান মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ছিলেন। সোমবার ধনধান্যের মঞ্চেও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে মুকুল ভট্টাচার্যের নাম শোনা গিয়েছিল।
স্বাস্থ্য ভবনের খবর, সুহৃতা পালের আমলে স্বাস্থ্য শিক্ষার মান নিয়ে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। প্রশ্নপত্র ফাঁস,পরীক্ষায় স্বজনপোষণ নীতি নিয়ে কলেজে কলেজে ক্ষোভ মাত্রা ছাড়িয়ে ছিল সুহৃতা পালের সময় বলে অভিযোগ। সেই ব্যবস্থার বদল ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করছে ধনধান্যে মুখ্যমন্ত্রীর সভার আয়োজক রাজ্য ‘গ্রিভান্স অ্যান্ড রিড্রেসাল সেল’। সেই কাজে এসএসকেএমের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান মুকুল ভট্টাচার্য উপাচার্য হিসাবে পছন্দ রাজ্য গ্রিভান্স সেলেরও।
স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার পর মুকুল ভট্টাচার্য বলেন, “মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটা দূরত্ব রয়েছে এটা আমি বুঝেছি। আমি সেই দূরত্ব মেটানোর চেষ্টা করব। বিশ্ববিদ্যালয় আর কলেজের ফ্যাকালটিরা যেন একটু কাছে আসে সেই চেষ্টা করব।”