Rajarhat: ‘আমার গায়ের ওপর উঠে দাবায় ওরা…’, রাজারহাটে দুই ছেলে-বউমা-নাতনির সামনেই প্রৌঢ়ার সঙ্গে যা করা হল…
Rajarhat: রবিবার রাতে রাজারহাট ভাতুড়িয়া এলাকায় বাড়ির সামনে বসে ছিল মদের আসর। পরিবারের এক সদস্য জানান, বাড়ির ছোট ছেলে কুশল চক্রবর্তীর প্রথমে প্রতিবাদ করেন। তারপর মদের আসর থেকে তাঁকে গালিগালাজ করতে থাকেন।
কলকাতা: বাড়ির সামনে মদ খাওয়া নিয়ে বচসা। তার প্রতিবাদ করায় একটি পরিবারের সব সদস্যকেই মারধরের অভিযোগ। বাড়ির মহিলা সদস্যদের নিগ্রহের অভিযোগ। রেয়াত পায়নি ৬ বছরের শিশুও। কাঠগড়ায় তৃণমূল। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজারহাটে ভাতুরিয়া এলাকায়। রাজারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত পরিবার। অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতা কল্যাণ লোধের শ্যালক হীরক মুখোপাধ্যায়-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।এমনকি থানায় অভিযোগ করতে গেলেও প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি পরিবারের।
স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার রাতে রাজারহাট ভাতুড়িয়া এলাকায় বাড়ির সামনে বসে ছিল মদের আসর। পরিবারের এক সদস্য জানান, বাড়ির ছোট ছেলে কুশল চক্রবর্তীর প্রথমে প্রতিবাদ করেন। তারপর মদের আসর থেকে তাঁকে গালিগালাজ করতে থাকেন। কুশলের মা বলেন, ” আমার ছেলে ডিউটি করে বাড়ি ফিরছিল। ওরা আমার বাড়ির সামনেই বসে মদ খাচ্ছিল। সে সময়ে ওকে গালিগালাজ করতে থাকে। সেটা শুনে আমার বড় ছেলেও যায় প্রতিবাদ করতে। ওকে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। আমি সামলাতে যাই। ধাক্কাধাক্কিতে হীরকের মোবাইল পড়ে যায়। এরপর ওরা আমার ওপর চড়াও হয়। আমাকে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলে মারে। মাথায় ৬টা সেলাই পড়ে। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার গায়ের ওপর উঠে দাবিয়েছে। আমার বৌমাকেও হেনস্থা করেছে। আমার দুই ছেলে, স্বামী সবাইকে মারধর করেছে। আমাদের বলছে পাড়া ছাড়া করে দেবে।”
অভিযোগ উঠছে, রাজারহাটের তৃণমূল নেতা কল্যাণ লোধের শ্যালক-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতেই আক্রান্ত কুশল চক্রবর্তী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় রাজারহাট থানায় যায়। প্রথমে অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আক্রান্ত পরিবারের। পরে অভিযোগ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত। থানার সামনে অপেক্ষায় রয়েছেন আক্রান্ত গোটা পরিবার। রাজারহাটের তৃণমূল নেতা কল্যাণ লোধ বলেন, “আমার খুড়তুতো শ্যালক। তাঁর দায়িত্ব তো আর আমি নিতে পারছি না। কে কোথায় মদ খেয়ে কী করে বেড়াবে, অন্যায় করে আইনত পদক্ষেপ করবেই।”