কলকাতা: রীতিমতো রাজার হালে চার্টাড প্লেনে চেপে দিল্লি গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু ভোটে পর থেকে দলের সঙ্গে খুব একটা বনিবনা হচ্ছে না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার তাঁর ফেসবুক পোস্টেই কার্যত বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। রাজীব ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, নিজের অসন্তোষের বিষয়টি ইতিমধ্যেই দলকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিজেপি যে উগ্র হিন্দুত্বের রাস্তা ধরে এগোচ্ছে সেটাও মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে রাজীব মনে করছেন।
তবে ভোটের ফল খারাপ হয়েছে বলে রাজীব সুরবদল করছেন এমনটা নয়। রাজীবের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, ভোটের আগেও তিনি এই উগ্র হিন্দুত্বের লাইন ধরে হাঁটার বিষয়ে দলের অন্দরেও আপত্তি তুলেছিলেন। সেই কারণে রাজীব নিজের ভাষণেও কখনই উগ্র হিন্দুত্বের কথা বলতেন না। তিনি ডবল ইঞ্জিন সরকার, উন্নয়ন, কর্মসংস্থান নিয়েই বেশি কথা ভাষণে বলতেন। কিন্তু রাজীবের সে কথায় কর্ণপাত করা হয়নি বলেই জানাচ্ছেন প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা।
এরপর ভোটের ফল বেরিয়েছে। নির্বাচনে পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি। কিন্তু তারপরও নীতি বদলানোর কোনও লক্ষণ দেখায়নি গেরুয়া শিবির। বিষয়টি যারপরনাই করেছে ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থীকে। বেজায় অসন্তুষ্ট তিনি। কেন এখনও দিল্লি এবং ৩৫৬-র জুজু দেখানো হচ্ছে? ফেসবুক পোস্টের মতো দলের অন্দরেও সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রাজীব মনে করছেন, এখনও মমতা এবং অভিষেককে নিয়ে ব্যক্তি কুৎসাতেই বেশি মন দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে….’, ফেসবুকে বিস্ফোরক রাজীব, বাড়ল ঘর ওয়াপসির জল্পনা
রাজীব মনে করছেন, ভোটে হারার পর ফলাফল মেনে নিয়ে নীতিতে পরিবর্তন করা উচিত ছিল বিজেপির। রাজীব ঘনিষ্ঠরা দ্বর্থ্যহীন ভাষায় জানিয়েছেন, যেভাবে দল চলছে তাতে দলের সঙ্গে সম্পর্কে রাখতে তিনি আগ্রহী নন।
আরও পড়ুন: ‘যন্ত্রণায় জ্বলছেন’ মুকুল; বিজেপির বৈঠকে গরহাজির থেকে বললেন, ‘আমাকে কেউ জানায়ইনি’