Ration Scam: রেশনের চাল-গম মজুতের তথ্যেও কি গরমিল? ডিলারদের অভিযোগ ঘিরে জোর তরজা

Ration Scam: টিভিনাইন বাংলাকে এক রেশন ডিলার ক্যামেরার সামনেই বলেন, "মাইনাস যে কখন প্লাস হয়ে যাচ্ছে বোঝাই যাচ্ছে না। বাড়তি মাল দেখাচ্ছে মেশিনে। শুধু আমি না, আমার মতো যতজনের মেশিনে এই মাল ঢুকেছে, কোনও দোকানদার মাল পায়নি। কোনও হোলসেলার বলতে পারবে না এই মাল ওদের দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই ইপসটা ঠিক করে দেওয়া হোক। জিরো করে নতুন করে সিস্টেমটা চালু করা হোক।"

Ration Scam: রেশনের চাল-গম মজুতের তথ্যেও কি গরমিল? ডিলারদের অভিযোগ ঘিরে জোর তরজা
অভিযোগকারী রেশন ডিলার। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2023 | 5:54 AM

কলকাতা: রেশন দুর্নীতি মামলায় একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে। এবার নজরে ই-পস সিস্টেম। রেশন ডিলারদের একাংশ অভিযোগ করছেন, রেশনের চাল, গম মজুত ও খরচের তথ্যে হেরফের হয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেল সিস্টেম বা ইপস-এ (EPOS) মজুত চাল, গমের তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের তথ্যের গরমিল দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ ঘিরেই এখন বিতর্ক চরমে। এই গরমিলের সঙ্গে রেশন দুর্নীতির যোগও জড়িয়ে যাবে না তো, প্রশ্ন রাজ্যের হাজারো রেশন ডিলারের।

টিভিনাইন বাংলাকে এক রেশন ডিলার ক্যামেরার সামনেই বলেন, “মাইনাস যে কখন প্লাস হয়ে যাচ্ছে বোঝাই যাচ্ছে না। বাড়তি মাল দেখাচ্ছে মেশিনে। শুধু আমি না, আমার মতো যতজনের মেশিনে এই মাল ঢুকেছে, কোনও দোকানদার মাল পায়নি। কোনও হোলসেলার বলতে পারবে না এই মাল ওদের দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই ইপসটা ঠিক করে দেওয়া হোক। জিরো করে নতুন করে সিস্টেমটা চালু করা হোক।”

সূত্রের খবর, ২০২১ সালে কেন্দ্র সরকারের তরফে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, পণ্য বিতরণ পোর্টালে বায়োমেট্রিক তথ্যের মাধ্যমে কোনও তথ্য রাজ্য দিচ্ছে না। অভিযোগ, এরপর থেকেই রেশন ডিলাররা ‘ফিজিকাল স্টক’ আর ইপস হিসাবে গরমিল দেখতে পান। অর্থাৎ হাতে তাঁদের যে স্টক আছে, পরদিন সিস্টেমে দেখছেন দ্বিগুণ স্টক রয়েছে। এর অর্থ, এই বিপুল মাল রেশন ডিলারদের হাতে আছে। রেশন ডিলারদের দাবি, তাঁরা সে মাল পাননি।

সিপিএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা পশ্চিমবাংলার মানুষের খাদ্যের অধিকারের সঙ্গে তঞ্চকতা করেছেন, প্রতারণা, প্রবঞ্চনা করেছেন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।” যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “কোন সূত্রে এ খবর আসছে সেটাও আমরা জানতে চাই। গত ১২ বছরে ধীরে ধীরে রেশন দুর্নীতি আমরা বন্ধ করেছি। এরপরও যারা অন্যায় করে, তাদের কোনও রং হয় না। সিপিএমের আমলের কিছু পুরনো লোক রয়েছে, যারা এখনও দুর্নীতির অভ্যাস ছেড়ে বেরোতে পারেনি।”

খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বক্তব্য, “ইপস-এ দুর্নীতির অভিযোগ ঠিক নয়। রেশন‌ বন্টন ইপসের মাধ্যমে হয়। গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী দেওয়ার পর যা বাঁচবে তা আগামী মাসে অ্যাডজাস্ট হবে। গ্রাহক কার্ডের ভিত্তিতে রেশন সামগ্রী পান। এখানে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। স্টকে কোন‌ও গরমিল থাকলে তা দফতরকে জানালে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ অভিযোগ করে সমস্যার সুরাহা পাননি তা হয়নি। আর অন্নবিতরণ পোর্টালে এখন আমাদের আধার তথ্য দেওয়ার হার তো ৯৮.৬%।”