কলকাতা: শিক্ষা, পুরসভার পর এবার রেশন। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে বাংলায়। তেড়েফুঁড়ে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। আর এসবের মধ্যেই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। নওশাদের সন্দেহ, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ জড়িত থাকতে পারেন। বললেন, “রেশন দুর্নীতির সঙ্গে শওকত মোল্লা বা তাঁর পরিবারের যে কেউ হয়ত জড়িয়ে থাকতে পারে। এগুলি যদি তদন্ত করা হয়, তাহলে হয়ত আগামী দিনে শওকত মোল্লার নামও আসতে পারে।” কিন্তু কীসের ভিত্তিতে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলছেন আইএসএফ বিধায়ক? নওশাদের দাবি, তাঁদের হাতে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য ইতিমধ্যেই এসেছে এবং প্রয়োজনে সেগুলি তাঁরা ইডিকে স্পিড পোস্ট করবেন।
রাজ্যের শাসক দলের বড় থেকে মাঝারি একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মামলায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এখনও জেলবন্দি। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় তিহাড়ে বন্দি। রাজ্যের আরও দুই বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য ও জীবনকৃষ্ণ সাহাও জেলে। সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। এমন অবস্থায় ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়কের মুখে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত বিস্ফোরক অভিযোগ।
নওশাদের সন্দেহের বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার সঙ্গেও। যদিও এই বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে একেবারেই নারাজ তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, নওশাদ রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই এইসব ‘প্রলাপ বকছেন’। শওকতের প্রশ্ন, “আমি কি কোনওসময় বাংলার খাদ্যমন্ত্রী ছিলাম নাকি! আমি বা আমার পরিবার কীভাবে রেশন কেলেঙ্কারিতে যুক্ত হবে?” ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়কের উদ্দেশ্য পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শওকত। বললেন, “যদি হিম্মত থাকে, প্রমাণ করুন নওশাদ। শুধু রেশন কেন, যে কোনও দুর্নীতিতে যদি আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ করতে পারেন, রাজনীতি থেকে তো বিদায় নেবই, মানুষের কাছে মাথা ন্যাড়া হয়ে দাঁড়াব।”