Sankar Addhya Arrest: কেন গ্রেফতার বালু ‘ঘনিষ্ঠ’ শঙ্কর? রেশনের কালো টাকায় কী যোগ পেল ইডি

সিজার মণ্ডল | Edited By: Soumya Saha

Jan 06, 2024 | 10:47 AM

Sankar Addhya: বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। এর মধ্যে তাঁর চারটি সংস্থা ইডির তদন্তকারী অফিসারদের স্ক্যানারে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে দু'টি সংস্থা হল শঙ্কর ফোরেক্স এবং অর্পন ফোরেক্স। এই দুই সংস্থা বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত।

Sankar Addhya Arrest: কেন গ্রেফতার বালু ঘনিষ্ঠ শঙ্কর? রেশনের কালো টাকায় কী যোগ পেল ইডি
শঙ্কর আঢ্য ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কলকাতা: রেশন দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বনগাঁর দাপুটে নেতা শঙ্কর আঢ্যকে। শঙ্করবাবুর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যর দাবি, সকাল থেকে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল। এরপর রাতে আচমকাই নাকি বলা হয়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরে বিপুল অঙ্কের টাকার জোগানের উৎস নিয়ে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি শঙ্কর আঢ্য।

বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। এর মধ্যে তাঁর চারটি সংস্থা ইডির তদন্তকারী অফিসারদের স্ক্যানারে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে দু’টি সংস্থা হল শঙ্কর ফোরেক্স এবং অর্পন ফোরেক্স। এই দুই সংস্থা বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। এর পাশাপাশি ইডি নজরে রয়েছে শঙ্করের অর্থলগ্নি সংস্থা এস আর আঢ্য ফিনান্সও। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুদ্রা কেনাবেচার সংস্থায় সাম্প্রতিক বছরে বিপুল টাকার জোগান এসেছে। বিপুল টাকার উৎস নিয়ে গতকালের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে কার্যত নীরব ছিলেন শঙ্কর। টানা ১৭ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পরও মেলেনি টাকার উৎসের হদিশ।

ইডির সন্দেহ, রেশন দুর্নীতির বিপুল টাকা ঢুকেছে শঙ্করের সংস্থায়। প্রাথমিকভাবে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার আড়ালেই ঘুরেছে রেশন দুর্নীতির টাকা, এমনটাই সন্দেহ তদন্তকারী অফিসারদের। শঙ্করের সংস্থা ঘুরে সেই বিপুল অর্থ কি বিদেশেও পাচার হয়েছে? সেই আশঙ্কাও একেবারে ওড়াতে পারছেন না ইডির তদন্তকারী দল। সূত্রের দাবি, বনগাঁর দাপুটে নেতা শঙ্করের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথিও। যে ফোরেক্স ও অর্থলগ্নি সংস্থা ইডির স্ক্যানারে রয়েছে, সেখানে ডিরেক্টর পদে আছেন শঙ্করের স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য। ডিরেক্টর পদে রয়েছেন শঙ্করের ছেলে এবং শ্যালকও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, হোটেল ব্যবসাতেও বিনিয়োগ হয়েছে রেশনের টাকা।

Next Article