Shankar Adhya on Jyotipriya: ‘জ্যোতিপ্রিয় বাবু আমাকে সরালেন কেন?’ পাল্টা প্রশ্ন ‘ঘনিষ্ঠ’ শঙ্করের

Supriyo Guha | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jan 08, 2024 | 12:18 PM

Shankar Adhya on Jyotipriya: এদিন বালুর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন শঙ্কর আঢ্য। গ্রেফতার হওয়ার পর বালুকে চিনতেই অস্বীকার করেছিলেন তিনি। সোমবার টাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "কোনও দিন ১০০ টাকাও আমকে দেননি জ্যোতিপ্রিয়।"

Shankar Adhya on Jyotipriya: জ্যোতিপ্রিয় বাবু আমাকে সরালেন কেন? পাল্টা প্রশ্ন ঘনিষ্ঠ শঙ্করের
স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে শঙ্কর আঢ্যর
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: একটি চিঠিতেই বিপদ বেড়েছে শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুর। বালু মল্লিক তাঁর মেয়েকে কেন বললেন ‘ডাকু’র কাছ থেকে টাকা আনতে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যখন তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, তখ পুরনো কথা মনে করালেন তৃণমূল নেতা। উত্তর ২৪ পরগনায় যখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাপট চরমে, তার মধ্যেই পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল শঙ্করকে। বালুর সঙ্গে সম্পর্কে চিড় নিয়ে কানাঘুষোও শোনা গিয়েছিল সেই সময়। ২০২১ সালের সেই কথাই এবার শোনা গেল শঙ্করের মুখে। সংবাদমাধ্যম যখন জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছে, তখন পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন শঙ্কর।

সোমবার সকালে শারীরিক পরীক্ষা জন্য যখন শঙ্কর আঢ্যকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন তিনি বলেন, “যদি এত ভাল সম্পর্ক থাকত, তাহলে জ্যোতিপ্রিয় বাবু আমাকে সরিয়ে দিলেন কেন? কেন পুরসভায় আমাকে টিকিট দিলেন না?” উল্লেখ্য, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শঙ্কর আঢ্য। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁয় তৃণমূলের খারাপ ফল হওয়ার পর পুর প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই নেতাকে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনেও বনগাঁয় খারাপ ফল হওয়ার শঙ্করের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন একাধিক কাউন্সিলর। গত পুর নির্বাচনে আর টিকিট পাননি তিনি।

এদিন বালুর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন শঙ্কর আঢ্য। গ্রেফতার হওয়ার পর বালুকে চিনতেই অস্বীকার করেছিলেন তিনি। সোমবার টাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কোনও দিন ১০০ টাকাও আমকে দেননি জ্যোতিপ্রিয়।” বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে প্রিয়দর্শিনী তাঁকে চিনতেন না বলেও দাবি করেছেন শঙ্কর। উড়িয়ে দিয়েছেন টাকার লেনদেনের কথা।

উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি তাঁর মেয়েকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানেই ডাকুর নাম লেখা ছিল বলে দাবি ইডি-র। সেই সূত্র ধরেই শঙ্করের ডেরায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Next Article