Regent Park: ‘NRC আতঙ্কে আত্মহত্যা’, অশিক্ষক কর্মীর মৃত্যুতে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর

Regent Park: দিলীপ ৪০ বছর ধরে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় থাকেন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, শনিবার রাতে খাওয়াদাওয়া সেরেই ঘুমোতে যান। রবিবার সকালে দীর্ঘক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও দরজা খোলেননি।

Regent Park: NRC আতঙ্কে আত্মহত্যা, অশিক্ষক কর্মীর মৃত্যুতে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর
ডান দিকে, আত্মঘাতী প্রৌঢ়Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 03, 2025 | 7:35 PM

কলকাতা: এক অশিক্ষক কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রিজেন্ট পার্কে। পরিবারের দাবি, NRC আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দিলীপ কুমার সাহা (৬০)। দিলীপ পূর্ব পুটিয়ারির রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার বাসিন্দা।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ ৪০ বছর ধরে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় থাকেন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, শনিবার রাতে খাওয়াদাওয়া সেরেই ঘুমোতে যান। রবিবার সকালে দীর্ঘক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও দরজা খোলেননি। অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না মেলায়, পরিবারের সদস্যরা বাড়ির পিছন দিক থেকে দেখতে যান। ঘরের মধ্যে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। ঘরে ফ্যানের সঙ্গে গামছার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিলেন তিনি।

পরিবারের দাবি, সম্প্রতি এসআইআর নিয়ে তোড়জোড় শুরু হতেই আতঙ্কে ছিলেন দিলীপ। কারণ NRC ইস্যুতে আতঙ্কে ছিলেন তিনি। কী নথি লাগবে, আদৌ সেই নথি তাঁর কাছে রয়েছে কিনা, এই সব নিয়েই আতঙ্কে ছিলেন তিনি।

দিলীপের স্ত্রী বলেন, “সারাক্ষণ খবর দেখত। আমরা বোঝাচ্ছিলাম। আমি কত বলেছি, এরমকটা হবে না। কিন্তু ও বুঝত না। বলল, যখন বলছে, আমাদেরকে নিয়ে চলে যাবে। NRC–NRC করে করে চলে গেল। আমাদের সংসারে কোনও অশান্তি নেই। যেরকম খায়, সেরকম খেল, দুজনে টিভি দেখলাম। শুধু বলত, আমি চলে গেলে তোমাদের কী হবে, বাংলাদেশে নিয়ে যাবে, কারাগারে রাখবে… এসব বলত শুধু।”

৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত বলেন, “বিজেপি মাইকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলত। বিজেপির চেষ্টা ছিল, এই পাড়াটার মধ্যে একটা আতঙ্ক তৈরি করার। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ভুগছে। এটা আতঙ্কেরই বলি।”

যদিও রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সব আষাঢ়ে গল্প। ৭২ সালে ওখান থেকে এসে বিয়ে-সাদি করে নাতি পুতি হয়ে গেল। এখন নাতির জন্য মেয়ে দেখতে লোকে বেরিয়ে পড়েছে। এখন আবার ৭২ সাল নিয়ে আতঙ্ক কীসের? এসব তৃণমূলী গল্প কেউ বিশ্বাস করবে না।”