RG Kar Medical: হাতে ক্যামেরা, ওই রাতে আরজি করের সেমিনার রুমে কে ওই ব্যক্তি? চাঞ্চল্যকর ছবি সামনে
RG Kar Medical: যে ফটো সামনে এসেছে, তাতে পুলিশের উর্দি পরে একজনকে দেখা গিয়েছে। একজনকে ক্যামেরা হাতেও দেখা গিয়েছে। তিনি কে? ডিসি সেন্ট্রাল ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, দুপুর ১২টা ২৫ থেকে ধাপে ধাপে ফটোগ্রাফি হয়েছে। ইনকোয়েস্ট থেকে ফরেন্সিক পর্ব বা সিজারপর্ব, ফটোগ্রাফি চলেছে।
কলকাতা: আরজি করকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য টিভিনাইন বাংলার হাতে। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় চারদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, সেমিনার রুমে ৪০ ফুট ঘিরে রাখা হয়েছিল। সেমিনার হলে যেখানে ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেই জায়গা থেকে ৪০ ফুটের মধ্যে কোনও বহিরাগত ঢোকেনি। কিন্তু টিভিনাইন বাংলা হাসপাতালেরই জুনিয়র ডাক্তারদের থেকে যে ছবি পেয়েছে, তা উস্কে দিচ্ছে একের পর এক প্রশ্ন। একটি সাদা কাপড় দিয়ে ‘ক্রাইম সিন’ ঢাকা। আর সেখানে লোকের ভিড়। দেখে মনে হবে মৃতদেহের ঘাড়ের উপর কার্যত হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তাঁরা। কারা তাঁরা? এই ছবি দেখে বোঝার জো নেই কোনও কর্ডন অফ হয়েছে সেমিনার রুমে। সেখানে গিজ গিজ করছে কাদের ভিড়?
যে ফটো সামনে এসেছে, তাতে পুলিশের উর্দি পরে একজনকে দেখা গিয়েছে। একজনকে ক্যামেরা হাতেও দেখা গিয়েছে। তিনি কে? ডিসি সেন্ট্রাল ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, দুপুর ১২টা ২৫ থেকে ধাপে ধাপে ফটোগ্রাফি হয়েছে। ইনকোয়েস্ট থেকে ফরেন্সিক পর্ব বা সিজারপর্ব, ফটোগ্রাফি চলেছে। ছবিতে যে ব্যক্তিকে ক্যামেরা হাতে দেখা যাচ্ছে, তিনি যদি সেই ভিডিয়োগ্রাফারই হন, তার মানে ততক্ষণে অকুস্থল পুলিশের হেফাজতে।
পুলিশের হেফাজতে যদি থাকে, তাহলে সেখানে কীভাবে এত লোকের ভিড়? আর যদি এটা ১২টা ২৫-এর আগের ছবি হয়, তাহলে ওই ফটোগ্রাফার কে? কেন এখানে এলেন? কেন ডেডবডির ছবি তুলছেন? জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, “আমরা অনেকদিন ধরেই বলছি, ম্যাজিস্ট্রেট ইনকোয়েস্টের সময় বহু মানুষ ঢুকে যাচ্ছেন। পুলিশ ছিল এবং পুলিশের ভূমিকা খুবই উদাসীন ছিল। আমাদের এটাই প্রশ্ন, কীভাবে পুলিশ এতটা নিরুত্তাপ হতে পারে এই ঘটনার পর?”
জুনিয়র ডাক্তাররা প্রথম থেকেই বলছেন, পুলিশের ভূমিকা তাঁরা একেবারেই খুশি নন। একইসঙ্গে এবার সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। বলছেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের দাবি করেছিলেন। এখন হাইকোর্টের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু ১৩ তারিখ দায়িত্ব পেয়েছে সিবিআই। ১৬-১৭ দিন কেটে গেলেও এত সংশয় কেন থাকছে?