RG Kar Medical Waste: হাসপাতালের বর্জ্যস্তুপ থেকে ‘চুরি’ ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, গ্লাভসও, TV9 বাংলার ক্যামেরা দেখতেই দে দৌড়
RG Kar Medical Waste: দেখা গিয়েছে, কর্মীরা লাল, নীল, হলুদ ব্যাগে থাকা মেডিক্যাল বর্জ্য পুরসভার ভ্যাটে জমা করছেন।
কলকাতা : সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে মেডিক্যাল বর্জ্যের বিপুল ফারাক রয়েছে। যে কোনও জায়গায় ফেলা যায় না গ্লাভস, সিরিঞ্জের মতো জিনিস। পড়ে থাকা ওই সব জিনিস থেকে ছড়াতে পারে মারণ রোগ। আরজি কর হাসপাতাল সংলগ্ন পুরসভার ভ্যাট থেকে বর্জ্য পাচারের অভিযোগের তদন্তে কিছুদিন আগে তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছিল। রিপোর্টে প্রশাসনিক ব্যর্থতাকে দায়ী করেছিল সেই তদন্ত কমিটি। ভ্যাটে সিসিটিভি বসানো-সহ একাধিক সুপারিশও করা হয়েছিল। কিন্তু এবার সেই ভ্যাটের ভয়ঙ্কর ছবি ধরা পড়ল TV9 বাংলার ক্যামেরায়। দেখা গেল, মেডিক্যাল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে পুরসভার ভ্যাটে। আর সেই ভ্যাট থেকে সিরিঞ্জ, গ্লাভস বের করে নিচ্ছেন এক ব্যক্তি। ক্যামেরা দেখেই দিলেন দৌড়।
দেখা গিয়েছে, কর্মীরা লাল, নীল, হলুদ ব্যাগে থাকা মেডিক্যাল বর্জ্য পুরসভার ভ্যাটে জমা করছেন। সেখান থেকে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, গ্লাভস, স্যালাইনের বোতল ব্যাগে ভরছেন এক ব্যক্তি। কালো ব্যাগের মধ্যেও ভরা হচ্ছে ব্যবহৃত চিকিৎসা সামগ্রী। এই অনিয়মের কথাই তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছিল। কেন তুলছেন এসব জিনিস? প্রশ্ন করতে চমকে যান ওই ব্যক্তি। তারপর ক্যামেরায় সেই ছবি বন্দি হতে দেখেই পালিয়ে যান তিনি। প্রশ্ন উঠছে, কাদের অঙ্গুলিহেলনে আরজিকরে চলছে এই মারণ কারবার! কেন এমন অবস্থা? এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি বর্জ্য অপসারণে নিযুক্ত হাসপাতালের সাফাইকর্মীরা।
গত ১১ মার্চ উঠেছিল বর্জ্য পাচারের অভিযোগ। অভিযোগের তদন্তে মেডিসিনের চিকিৎসক অনিরুদ্ধ রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, মেডিক্যাল বর্জ্য যে পাচার হচ্ছে তার উল্লেখ ছিল কমিটির রিপোর্টে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি একাধিক পদক্ষেপ করার সুপারিশ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সন্দীপ ঘোষকে সরানো হয়েছে আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে। বর্জ্য পাচার সহ একাধিক অভিযোগের জেরেই সন্দীপ ঘোষকে বদলি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শুধুমাত্র বদলি নয়, সন্দীপ ঘোষের পদের অবনমনও হয়েছে। কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছিল, তার ওপর ভিত্তি করেই বদলি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।