Ritabrata Banerjee on Mamata Banerjee: ‘কোনও টাকা দিতে হবে না’, মমতার বামপন্থার ‘প্রমাণ’ দিলেন ঋতব্রত

Ritabrata Banerjee on Mamata Banerjee: একসময় সিপিএমের রাজনীতি করে আসা ঋতব্রত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রকৃত বামপন্থী বলে মনে করেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, "আমি এখনও মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামপন্থী।" কিন্তু কেন? সেই উদাহরণও তুলে ধরলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এই নেতা।

Ritabrata Banerjee on Mamata Banerjee: 'কোনও টাকা দিতে হবে না', মমতার বামপন্থার 'প্রমাণ' দিলেন ঋতব্রত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বামপন্থার 'প্রমাণ' তুলে ধরলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2024 | 9:04 PM

কলকাতা: একসময় সিপিএমের টিকিটে রাজ্য়সভার সাংসদ হয়েছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যের শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হন। তৃণমূলের টিকিটে ফের রাজ্যসভায় যাচ্ছেন তিনি। আর রাজ্য়সভার টিকিট পেয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন। একইসঙ্গে বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রকৃত বামপন্থী।

একসময় সিপিএমের রাজনীতি করে আসা ঋতব্রত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রকৃত বামপন্থী বলে মনে করেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “আমি এখনও মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামপন্থী।” কিন্তু কেন? সেই উদাহরণও তুলে ধরলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এই নেতা। বললেন, “২০০০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত একটা প্রকল্প ছিল এসএসওয়াই। সেই প্রকল্পে একজন ঠেলাওয়ালা যদি মাসে ৩০ টাকা দেন, তবে সরকার দিত ২৫ টাকা। সবমিলিয়ে জমা পড়বে ৫৫ টাকা। আর যদি ঠেলাওয়ালা তা না দিতে পারেন, প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। বামেদের সময় মাত্র ৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।”

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এটা হতে পারে না। একজন ঠেলাওয়ালাকে মাসে ৩০ টাকা দেবে, তবে সরকার ২৫ টাকা দেবে। কোনও টাকা দিতে হবে না। পুরো টাকাটাই দেবে সরকার। টাকা জমাবে। প্রফিডেন্ট ফান্ড নেই তো কী হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। ৬০ বছর বয়স হলে ২ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা পাবেন। এটাই বামপন্থা। বামপন্থা বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আলিমুদ্দিনের দস্তাবেজের মধ্যে বামপন্থা থাকে না।”

এই খবরটিও পড়ুন

রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত ৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ছাব্বিশে কী হবে? তাও স্পষ্ট ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। বললেন, “২০২৬ সালে যে নির্বাচন হবে, তা প্রমাণ করে দেবে বাংলার মাটিতে কী হতে চলেছে।”