কলকাতা: গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। বাঁশদ্রোণীতে পথ দুর্ঘটনায় ছাত্রমৃত্যুতে গ্রেফতারির দাবিতে ১৪ ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভ। রাতভর বাঁশদ্রোণী থানার বাইরেই বসে থাকেন তিনি। সকালে গ্রেফতার করা হল রূপাকে।
প্রসঙ্গত, বুধবার, মহালয়ার সকালে বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় নবম শ্রেণির এক ছাত্র মৃত্য়ুতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকায়। দিনভর তপ্ত থাকে পরিস্থিতি। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসন-কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ভাঙচুর চালানো হয় ঘাতক পে লোডারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় পাটুলি থানার ওসি-কেও। উত্তেজিত বাসিন্দাদের রোষের মুখে পড়েন তিনি। এক কনস্টেবলকে কিল-চড়-ঘুষি মারারও অভিযোগ ওঠে।
দুপুরের পরও পরিস্থিতি শান্ত হয়। কাউন্সিলর এলাকায় না আসায় ক্ষোভের আগুন জ্বলতে থাকে। দুপুরের পর হঠাৎই করে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর বহিরাগত হামলার অভিযোগ ওঠে। তাতে নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় যান ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা। ঘটনার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে থানার বাইরে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার বিজেপি নেত্রী রুবি দাস। তাতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি নেত্রীর মুক্তি, ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানার বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
রাতভর থানার বাইরে বসে থাকেন তিনি। সকালে গ্রেফতার করা হয় রূপাকে। গ্রেফতারির পর রূপা বলেন, “আমি রাতে বারবার বলেছিলাম, বাথরুমে যাব। কিন্তু সেটাও যেতে দেয়নি ওরা। চরম অমানবিকতা। আমাকে আমার সিআরপিএফ ছাড়া নিয়ে যেতে পারে না।”