
কলকাতা: নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠক থেকে বড় বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষকদের স্কুলে যাওয়ার কথা বললেও, ‘স্বেচ্ছাশ্রমের’ কথা বললেও তাতে রাজি নন একটা বড় অংশের চাকরিহারা। উল্টে রাজ্যের নানা প্রান্তে ডিআই অফিসগুলিতে আছড়ে পড়ে চাকরিহারাদের প্রতিবাদ। সেখানে আবার পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। এরইমধ্যে এবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধারা। তবে ১২ জন প্রতিনিধি নাকি ৮ প্রতিনিধি কথা বলবেন, তা নিয়ে তৈরি হয় জট। শেষ পর্যন্ত ১২ জনেরই অনুমতি মেলে বলে জানা যায়।
ঠিক কোন কোন দাবি রাখতে চলেছেন চাকরিহারারা?
চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময় বলছেন, ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে। যোগ্য-অযোগ্য পৃথকীকরণ লিস্ট প্রকাশ করতে হবে। একইসঙ্গে ২২ লক্ষ OMR প্রকাশ করতে হবে। পুনরায় তাঁদের পুরনো পদ ফেরানোর দাবি তুলে চিন্ময় জোরালো স্বরেই বলছেন, “আর্টিকেল ১৪ আর ১৬ ভায়োলেট করা হয়েছে বলা হচ্ছে। সেটাকে জাস্টিফাই করে কী করে সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়ের মাধ্যমে আমাদের নিজের নিজের পদে বহাল রাখা যায় সর্বতোভাবে সেই চেষ্টা শুধু নয়, চেষ্টা করে সুনিশ্চিত করতে হবে।”
আন্দোলন ও আলোচনা একসঙ্গে?
কিন্তু আন্দোলন ও আলোচনা একসঙ্গে কী চলতে পারে? চিন্ময় বলছেন, “আন্দোলন আন্দোলনের মতো চলবে। রাস্তার আন্দোলন ছাড়া আজ অবধি কিছু হয়নি। এই চাকরিতে কাউন্সিলিং, চাকরি পাওয়া, অ্যাপ্রুভাল সব আন্দোলন করে হয়েছে। তাই আন্দোলন ছাড়া এটারও যে সুরাহা হবে আমরা মনে করি না।” একইসঙ্গে এদিনের বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কথাও বলছেন চাকরিহারারা। চিন্ময় বলছেন, “লাইভ স্ট্রিমিং হোক, আমরা চাই। এই বৈঠক নেতাজি ইন্ডোরে হলে আমাদের তো অসুবিধা ছিল না। আমরা জানাব সবার সামনে যাতে এই বৈঠক দেখানো যায়।”