কলকাতা: বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলদের। সেই সময় আদালত কক্ষে শুনানি চলাকালীন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্য়ায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে প্রশ্ন করেন, ‘রামকৃষ্ণের কথা শুনেছেন? গুরু কে হয়? ভক্তের ভগবান। এদের গুরু কে?’ সিবিআই-এর তরফে উত্তরে জানানো হয়, গোয়েন্দারা সেটাই খোঁজার চেষ্টা করছেন। আদালত কক্ষের এই কথাবার্তা প্রকাশ্যে আসতেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে? কে এই ‘গুরু’? তা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি জানালেন, ‘আমি যদি বলি গুরু দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)? প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল পাওয়া গিয়েছে। তাহলে দিলীপ ঘোষ ভগবান হবেন না কেন?’
কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, ‘যদি প্রসন্নর বাড়ি দিলীপ ঘোষের সম্পত্তির দলিল পাওয়া যায়, তাহলে বাইরে ঘুরছেন কীভাবে? কেন গ্রেফতার হননি? দিলীপ ঘোষকে কাস্টডিতে নিয়ে তদন্ত হোক। গুরু কেন দিলীপ ঘোষ বা শুভেন্দু অধিকারী নয়? শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির যতজন আত্মীয় আছেন, তাঁদের চারপাশের লোকগুলিকে দেখুন… কতগুলি সরকারি চাকরি ও শিক্ষা দফতরের চাকরি রয়েছে? ইঙ্গিত শুধু এদিকে আসবে কেন?’
যদিও কুণাল ঘোষ এই গুরু ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ-শুভেন্দু অধিকারীদের টেনে আনায় বেজায় বিরক্ত বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, ‘দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এক টাকার দুর্নীতি যদি প্রমাণ করতে পারে, দিলীপ ঘোষ বেআইনিভাবে সম্পত্তি কিনেছিলেন, তা যদি কোনওদিন প্রমাণ করতে পারে, সেই মুহূর্ত থেকে দিলীপ ঘোষ পাবলিক লাইফ থেকে সরে যাবেন। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।’ পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে টেনে আনা নিয়েও পাল্টা দেন বিজেপি মুখপাত্র। বললেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এখন এমন কোনও চিকিৎসককে পাওয়া যাচ্ছে না, যিনি তৃণমূলকে শুভেন্দু অধিকারী সিনড্রোম থেকে মুক্ত করতে পারেন। কারণ, শুভেন্দু-আতঙ্ক কার্যত জলাতঙ্কের মতো ওদের গ্রাস করেছে।’