Santoshpur: উল্টো করে ঝুলিয়ে বিদ্যুতের শক, সন্তোষপুরে নাবালকের ওপর নারকীয় অত্যাচারে মুম্বই থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত শাহেনশাহ

Santoshpur: চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই সন্তোষপুরের একটি কারখানার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।  যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক নাবালককে উল্টো করে ঝুলিয়ে বিদ্যুতের শক দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় ভয়াবহতায় কেঁপে ওঠে রাজ্য।

Santoshpur: উল্টো করে ঝুলিয়ে বিদ্যুতের শক, সন্তোষপুরে নাবালকের ওপর নারকীয় অত্যাচারে মুম্বই থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত শাহেনশাহ
বাঁ দিকে অভিযুক্ত, ডান দিকে নিগ্রহের মুহূর্তের ছবি!Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 05, 2025 | 1:25 PM

কলকাতা: চুরির অপবাদ দিয়ে নাবালককে উল্টো করে ঝুলিয়ে বিদ্যুতের শক! সন্তোষপুরের সেই ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত আক্রান্ত কারখানার শাহেনশাহ। বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। এক যোগে তিনটি থানার পুলিশ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল। শেষমেশ গ্রেফতার। তবে মুম্বইয়ের কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে, সেটা এখনও পুলিশ জানায়নি। সঙ্গে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে গ্রেফতারির সংখ্যা পাঁচ।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই সন্তোষপুরের একটি কারখানার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।  যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক নাবালককে উল্টো করে ঝুলিয়ে বিদ্যুতের শক দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় ভয়াবহতায় কেঁপে ওঠে রাজ্য। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনও বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠে। জানা যায়, ওই নাবালক আদতে ইসলামপুরের বাসিন্দা। তার পরিবারকে ৮-১০ হাজার টাকার তোপ দিয়ে কারখানায় কাজের জন্য এনেছিলেন শাহেনশাহ। সন্তোষপুরে তাঁর কারখানায় জিন্সের প্যান্ট রং করা হয়। সেখানেই নিখোঁজ নাবালক ও তার দাদা কাজ করত।

ঘটনার দিন নাবালকের দাদাও অত্যাচারিত হয়। কিন্তু তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই বিষয়টি সামনে আনে। এই ঘটনায় আগেই মোস্তাফা কামাল ও তৌহিদ আলম নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা ঘটনার সময়ে ওই কারখানাতেই উপস্থিত ছিল। এদিকে, ধৃত ২ জনের বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি আছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।

মারধরের ঘটনার পর নাবালকে কোথায় গেলো সেবিষয়ে ধৃতদের দুজন ভিন্ন বয়ান দিচ্ছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতদের মধ্যে একজন দাবি করেছে মারধরের পর নাবালক কারখানা থেকে পালিয়ে গিয়েছে। ধৃত অপর একজন দাবি করেছে, মারধরের পর অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেই লোকেশন নির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছে না বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। শাহেনশাহ গ্রেফতারির পর নাবালকের খোঁজ মিলবে বলে আশাবাদী পুলিশ।