Sasthya Sathi: সাফল্যের হার ৯২ শতাংশ, স্তন ক্যানসার চিকিৎসায় স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা কতটা? আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলার বিশেষ স্বীকৃতি

Sasthya Sathi: স্তন ক্যানসার চিকিৎসায় স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধার হার কত অর্থাৎ স্তন ক্যানসার চিকিৎসায় আদৌ কি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প কোনও কাজে আসছে, তা দেখার জন্য একটি বিশেষ গবেষণা হয়েছে।

Sasthya Sathi: সাফল্যের হার ৯২ শতাংশ, স্তন ক্যানসার চিকিৎসায় স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা কতটা? আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলার বিশেষ স্বীকৃতি
কনফারেন্সে বিশিষ্ট তিন চিকিৎসকImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 16, 2025 | 2:03 PM

কলকাতা: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাথায় নতুন পালক। বাংলার চিকিৎসকদের গবেষণাকে স্বীকৃতি দিল অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত সেন্ট গ্যালেন ব্রেস্ট ক্যানসার কনফারেন্স। বাংলার সাফল্যেকে তুলে ধরায় বেসরকারি হাসপাতালের উদ্বেগকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

প্রসঙ্গত, স্তন ক্যানসার চিকিৎসায় স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধার হার কত অর্থাৎ স্তন ক্যানসার চিকিৎসায় আদৌ কি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প কোনও কাজে আসছে, তা দেখার জন্য একটি বিশেষ গবেষণা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় এই হার অভাবনীয়।

দেখা গিয়েছে,  সাত হাজারের মধ্যে ৯২ শতাংশ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমেই কেমো থেরাপি সাইকেল পুরোটাই সম্পূর্ণ করা গিয়েছে। আর তাতেই রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিমার হাত ধরে স্তন ক্যানসার চিকিৎসায় অভাবনীয় সাফল্যের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক মঞ্চে।

রাজ্যের দুটি বেসরকারি হাসপাতাল একটি বিশেষ সমীক্ষা চালায়। সাত হাজার রোগীর ওপর চলে সমীক্ষা। সেখানেই উঠে এসেছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অভাবনীয় সাফল্যের বিষয়টি। আন্তর্জাতিক স্তরে এই বিশেষ সমীক্ষার প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন বিশেষ্ট চিকিৎসকরা।

বাংলায় যেখানে এই হার ৯২ শতাংশ, সারা দেশে এই হার ৬৫ শতাংশ। বাংলার চিকিৎসকদের গবেষণাকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার সেন্ট গ্যালেন ব্রেস্ট ক্যানসার কনফারেন্স।

বিশিষ্ট চিকিৎসক সৌমেন দাস বলেন, “আমরা ৬টি পেপার সেখানে পাঠিয়েছিলাম। সেই ৬টি পেপারই গৃহীত হয়েছে। এই প্রেজেন্টেশন তৃতীয় দিনে সম্পূর্ণ হয়েছে। একটি পেপার ছিল, স্বাস্থ্য সাথী কিংবা সরকারি বিভিন্ন বিমায় ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরা কীভাবে উপকৃত হয়েছেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ক্যানসারক্ হাসপাতাল ও সিঁথির মোড়ের বিনায়ক হাসপাতালে প্রায় সাত হাজারের বেশি রোগীর ডেটা আমরা নিয়েছিলাম। কেমো থেরাপির সাতটা বা আটটা যে সাইকেল থাকে, তা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মধ্যেই শেষ করতে পেরেছেন, এমন রোগীর হার ৯২ শতাংশ। যেটা ভারতবর্ষের মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ মার্কার।”