
কলকাতা: এক সঙ্গে প্রায় ছাব্বিশ হাজার চাকরি বাতিল। যা নিয়ে কার্যত তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। শাসক-বিরোধী সবাই একে অপরকে দুষতে ব্যস্ত। কিন্তু দমদমের তৃণমূল সাংসদ বললেন, “এটা রাজ্যের সমস্যা। সেই ভাবেই দেখছি…।” এখানেই শেষ নয় দিলেন অদ্ভুত যুক্তিও।
এ দিন দমদমের তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আমার পক্ষে বলা মুশকিল। আমি তো স্কুলে পড়াতাম না। সুতরাং আমার দেখা কথা নয়।” প্রশ্ন উঠছে তবে কি তৃণমূল সাংসদ এই ইস্যুকে এড়ানোর চেষ্টা করছেন? এ দিন তিনি আরও বলেন, “আমি মানবিক দিক থেকেই দেখছি যে কেউ চাকরি পেল,চাকরি করল,তারপর চলে গেল এটা দুঃখের। সেটা নিয়ে কী করা যায় সেইটাই ভাবছি।”
এই ঘটনার দায় কার? টিভি ৯ বাংলার সাংবাদিক এই প্রশ্ন করতেই সৌগত রায় বলেন, “এর উত্তর আমি দিতে পারব না। তবে এটা একটা রাজ্যের সমস্যা। তবে আমি এটা বলছি, মুখ্যমন্ত্রী আন্তরিকভাবেই তাঁদের সঙ্গে আছে। যখন হাইকোর্টে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওদের চাকরি বাতিল করেছিলেন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ওদের চাকরি বহাল রেখেছিলেন। এখন একটা নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো বিষয়টি দেখছেন।” চাকরি বাতিল ইস্যুকে ঘিরে কম তোলপাড় হচ্ছে না বঙ্গ-রাজনীতি। বিরোধীরা ক্রমাগত বিঁধছে শাসকদল তৃণমূলকে। ছাব্বিশের ভোটের আগে চাকরি বাতিল ইস্যু যে তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা তা বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। এ দিকে, এই ইস্যুকে কীভাবে তৃণমূল লড়বে সেই নিয়েও নিজেদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা চলছে অন্দরে। ফলত, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন সৌগতবাবুর মতো পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ আপাতত দায় এড়িয়েই এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।