AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

School and College Reopening in West Bengal: ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুলের তালা, বড় ঘোষণা মমতার

CM Mamata Banerjee: নবম শ্রেণি, দশম শ্রেণি, একাদশ শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হবে ১৫ নভেম্বর থেকে। সঙ্গে কলেজেও শুরু হবে ক্লাস।

School and College Reopening in West Bengal: ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুলের তালা, বড় ঘোষণা মমতার
প্রায় দু'বছর পর স্কুল খুলতে চলেছে রাজ্যে। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 11:19 PM
Share

শিলিগুড়ি: প্রায় দু’বছর পর স্কুল খুলতে চলেছে রাজ্যে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকেই স্কুল খোলা হবে। শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বলেন, কালীপুজো, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো মিটলে ১৫ নভেম্বর থেকেই স্কুল খোলার বিষয়টিও দেখে নিন। তার আগে স্কুলগুলি পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এরপরই নবান্নের তরফে জানানো হয়, ১৫ তারিখ সরকারি ছুটি। তাই স্কুল খুলবে ১৬ নভেম্বর থেকে। নবম শ্রেণি, দশম শ্রেণি, একাদশ শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হবে ১৬ নভেম্বর থেকে। সঙ্গে কলেজেও শুরু হবে ক্লাস। পরবর্তী পরিস্থিতি থেকে শিশু শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্যও খুলবে স্কুলের দরজা।

এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে বলেন, “যে সব জায়গায় দুয়ারে সরকার ভোটের জন্য করা যায়নি সেখানে দুয়ারে সরকার হবে। ৪ তারিখে কালীপুজো। ৬ তারিখে ভাইফোঁটা। ১০ আর ১১ তারিখ ছট পুজো। ১৩ তারিখে জগদ্ধাত্রী পুজো। তোমাকে যা করতে হবে ১৫ তারিখ থেকে করতে হবে। স্কুল কলেজ খোলার ব্যাপারেও ১৫ তারিখ থেকেই করে দাও। তার আগে স্কুল কলেজগুলি পরিষ্কার করতে হবে। সেগুলিও মাথায় রাখতে হবে।”

করোনার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে বিভিন্ন রাজ্যে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের স্কুল কিন্তু খোলেনি। অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, কালীপুজোর পর থেকেই স্কুল খুলে দেওয়া হবে। তবে তিনি সে সময় বলেছিলেন, পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। মনে করা হচ্ছে, অবশেষে সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর পড়ল। তবে একই সঙ্গে এই মুহূর্তে কলকাতা ও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কালীপুজোর পর স্কুল খোলার পরিস্থিতি কতটা অনুকূল থাকবে তা নিয়েও কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

চিকিৎসক সুমন পোদ্দার বলেন, “এই সময় যা পরিস্থিতি তাতে আরেকটু দেখে নিলে হতো। হয়ত মা-বাবা ভয় পাবেন না।  কারণ তাঁরা যে ভাবে পুজোর প্যান্ডেলে বাচ্চা নিয়ে ঘুরেছেন, তাতে স্কুলে বাচ্চা পাঠানো ততটাও আশঙ্কার নয় বলে মনে করতে পারেন। তাঁদের দিক থেকে কোনও অভিযোগ যেন না থাকে। তবে আমরা ডাক্তারা একটু আশঙ্কিত। যারা একদম ছোটো, তারা তো কোভিড বিধি ব্যাপারটাই বুঝবে না। ওদের সেই বিধি মেনে চলতে বলাটাও কঠিন। তাই ধাপে ধাপে স্কুল খোলা হলে ভাল হতো। ”

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “একদিকে করোনাকে আটকাতে হবে, বেঁচে থাকতে হবে। আবার জীবনকে স্বাভাবিক করে ভবিষ্যথ প্রজন্মের জন্য স্কুল কলেজও খুলে দিতে হবে। ওদেরও স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে হবে। সবটাই চ্যালেঞ্জ।”

আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে একের পর এক কফিনবন্দি দেহ, মৃত আরও ৪ বাঙালি পর্বতারোহী