
কলকাতা: এসেছিল কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদে পরীক্ষা দিতে। পরীক্ষা দিতে এসে এবার নিজেরাই গ্রেফতার হয়ে গেল। পরীক্ষাকেন্দ্রে মিলছিল না বায়োমেট্রিক। আর তাতেই এই বিপত্তি। অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে শেষে হাজতে ঢুকতে হল। কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদের জন্য পরীক্ষার সিট পড়েছিল মৌলানা আজাদ কলেজে। সেখানে বনিতা টুডুর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল রুবি কুমারী (পণ্ডিত)। বয়স ২০ বছর। বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। বায়োমেট্রিক না মেলায় পরীক্ষাকেন্দ্রের ভ্যেনু ইনচার্জ অভিযোগ জানান পুলিশের কাছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হয় রুবি। একই ঘটনা পুনম কুমারীর সঙ্গেও। আঠাশ বছর বয়সি পুনমও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। পুনম এসেছিল মলিকা মুর্মুর হয়ে পরীক্ষা দিতে। পুনম কুমারীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুধু মৌলানা আজাদ কলেজই নয়, এমন ঘটনা আরও রয়েছে। হাজরা ল’ কলেজেও ভুয়ো পরীক্ষার্থী ধরা পড়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে হাজরা ল’ কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা ছয় জনকে। ধৃতদের নাম দেবেশ কুমার, জিতেশ কুমার সিং, বিরাট কুমার, আশুতোষ কুমার, বিনোদ কুমার ও পিন্টু কুমার। এদের প্রত্যেকের বাড়ি বিহারে। হাজরা ল’ কলেজে পরীক্ষা দিতে গিয়ে তারা ধরা পড়ে। হাতের ছাপ ও মুখের সঙ্গে বায়োমেট্রিকে মিল পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপর খবর দেওয়া হয় পুলিশের কাছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরা পরীক্ষা দিতে এসেছিল যথাক্রমে দীলিপ মুর্মু, প্রণব মণ্ডল, বেচন চৌধুরী, মহম্মদ সওকত আলম, রাজেশ রজক ও ইন্দ্রজিৎ ঘোষের হয়ে।
এছাড়া ভবানীপুর থানা এলাকা থেকেও সুব্রত দস্তিদার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি অভিজিৎ টিগ্গি নামে অপর একজনের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। পুলিশের চাকরির পরীক্ষা দিতে এসে পুলিশের হাতেই ধরা পড়ল এরা।