কলকাতা: বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার পথে তাঁর অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। এবার সেই ঘটনায় বনগাঁ থানায় তলব করা হল আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের।
সিআরপিসি ৯১ -তে তলব করা হয়েছে। বনগাঁর আক্রান্ত হওয়ার পর ইডি আধিকারিকদের তরফে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের নথি বা প্রমাণ জমা দেওয়ার জন্য সমন করা হল। তবে এদিন ইডি বনগাঁ থানায় যেতে পারছে না। ইডি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি থাকার কারণে এদিনের পরিবর্তে অন্যদিন তাঁরা সহযোগিতা করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরাও। সেদিনই সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে এই মামলার তল্লাশি চলে। সেখানে আক্রান্ত হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর ইডি আধিকারিকরা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করেন। তাঁকে গাড়িতে বনগাঁ থেকে কলকাতায় নিয়ে আসার পথে আক্রান্ত হতে হয় তদন্তকারীদের। শঙ্কর আঢ্যর অনুগামীর বাড়ির সামনে ভিড় করে ছিলেন। গাড়ি বেরোতেই বিক্ষোভ দেখান. ঢিল ছোড়েন বলে অভিযোগ। ইটের আঘাতে তদন্তকারীদের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়।
সেই ঘটনার পর ইডির তরফে তদন্তকারী প্রশান্ত চাণ্ডিল মামলা দায়ের করেন। তাঁকে আগে বনগাঁ থানায় ডাকা হয়েছিল বয়ান রেকর্ডের জন্য। সেদিন বনগাঁর DSPও এসেছিলেন। সেই সময় বয়ান দেননি ইডি আধিকারিক। অন্যদিকে আইজি-র তরফে সিআরপিএফকেও নোটিস দেওয়া হয়। কোন কোন সিআরপিএফ আধিকারিক এবং জওয়ান গিয়েছিলেন সেদিনের তল্লাশিতে, তাঁদের বয়ান রেকর্ড করতে চায় পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।