Shankar Ghosh: ‘প্রাণ চলে যেতে পারত বিরোধী দলনেতার…’, বারুইপুরে কী ঘটেছিল, বিধানসভার বাইরে বিস্ফোরক শঙ্কর ঘোষ

Shankar Ghosh: প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব নির্ধারিত রুট অনুযায়ী, যে এলাকা দিয়ে মিছিল করে যাওয়ার কথা ছিল, সেখানেই পাল্টা পথসভা কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। আর তাতেই বিপর্যয়। দুই পক্ষের মিছিলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

Shankar Ghosh: প্রাণ চলে যেতে পারত বিরোধী দলনেতার..., বারুইপুরে কী ঘটেছিল, বিধানসভার বাইরে বিস্ফোরক শঙ্কর ঘোষ
বিধানসভায় শঙ্কর ঘোষ Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 20, 2025 | 12:58 PM

কলকাতা: স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র বারুইপুর পশ্চিমে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বুধবার। আর তার আঁচ বৃহস্পতিবার পড়ল বিধানসভায়। বিজেপি বিধায়কদের ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, বিধানসভার কার্য বিবরণীর কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ, কালো পতাকা প্রদর্শন, কাগজ পুড়িয়ে বিক্ষোভে তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। তাঁদের বক্তব্য, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হওয়া সত্ত্বেও কেন শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে, তাঁর গাড়িতে হামলা হল, কেন এহেন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হল, তার জবাব দিতে হবে স্পিকারকে। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, বিরোধী দলনেতার প্রাণ চলে যেতে পারত, এহেন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব নির্ধারিত রুট অনুযায়ী, যে এলাকা দিয়ে মিছিল করে যাওয়ার কথা ছিল, সেখানেই পাল্টা পথসভা কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। আর তাতেই বিপর্যয়। দুই পক্ষের মিছিলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শঙ্কর ঘোষ বলেন, ”
স্পিকারের নির্বাচনী ক্ষেত্র বারুইপুরে বিরোধী দলনেতার গাড়ির ওপরে আক্রমণ হয়েছে। ৫০জন বিরোধী বিধায়কের গাড়িতে আক্রমণ হয়েছে। পরিস্থিতি এমন ছিল, যে পুলিশ ও দুষ্কৃতী মিলিত আঁতাতে বিরোধী দলনেতা-সহ বিরোধী বিধায়কদের প্রাণ চলে যেতে পারত। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়, বারুইপুরে গিয়ে নিশ্চিতভাবে যা ঘটেছে, তার প্রমাণ। রাজ্যবাসী তা প্রত্যক্ষ করেছে।”

এদিন অধিবেশন শুরুর আগের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে শঙ্কর বলেন, ” অন ক্যামেরা আমরা বলছি, স্পিকার সাহেবের কাছে আমরা মাথা নীচু করে চেয়ার বসি। কিন্তু মানুষ হিসাবে স্পিকার সাহেব কতখানি দলদাস! একটা কাগজ ছিঁড়লে বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করেন, আমাদের অনেককে বারংবার সাসপেন্ড করেছেন।আজকে ওয়েলে নেমেছিলাম।”

স্পিকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, “বিমানবাবুর বিধানসভা কেন্দ্রে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের একত্রিত করে গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করা হয়েছে।”

গত কয়েকদিন ধরে একাধিক ইস্যুতে তপ্ত হয়ে রয়েছে বিধানসভা। স্পিকারের বিরুদ্ধে বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগেই তাঁর কেন্দ্রে কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। আবার সেখানেও ঘটে যায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। আবারও অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। তাতে বিজেপির পরবর্তী পদক্ষেপ কী? সে প্রসঙ্গে শঙ্কর ঘোষ বলেন, “পরিষদীয় দলের বৈঠক হবে। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আমরা বসব। আমাদের বিধায়করা প্রত্যেকেই তাঁদের মত রাখেন। তারপর দলনেতা সিদ্ধান্ত নেন।”