
কলকাতা: দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও ক্রমাগত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এবার করোনা প্রতিরোধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করল স্বাস্থ্য ভবন। শ্বাসকষ্ট ও ইনফ্লুয়েঞ্জা উপসর্গ থাকা রোগীদের উপরে নজরদারি। নমুনা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। এই পরিস্থিতিতে কি আবারও ভ্যাকসিন নিতে হবে? কী বলছেন চিকিৎসকরা?
বস্তুত, গত দু’সপ্তাহ আগে পর্যন্ত এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ ঘণ্টায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বদলে গিয়েছে সেই ছবি। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৬০ জন করে কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের দাবি, এর বাইরেও অনেকে রয়েছেন যাঁদের পরিসংখ্যান মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
কী কী নির্দেশিকা?
ক) জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে হবে। স্কুল অফ ট্রপিক্যালে পাঠাতে হবে নমুনা
খ) শ্বাসকষ্ট উপসর্গ থাকা রোগীদের নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে টেস্ট করতে হবে। কো-মরবিটি যাঁদের রয়েছে তাঁদের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে।
গ) ফিভার ক্লিনিকগুলির পরিকাঠামো মজবুত করতে হবে।
চিকিৎসক রাজা ধর বলেন, “আমাদের যে অনুশীলন ছিল মাস্ক পরা, হাত ধোয়া সেগুলি সব ভুলে গিয়েছি। এটা হয়ত মনে করানো। তাই এই নিয়মগুলি ভুলে গেলে চলবে না। এইগুলো প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনে ঢুকতে হবে। যদি দেখা যায় আমাদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অনেক হচ্ছে, আশা করছি মৃত্যুর হার বাড়বে না। তবে যদি বাড়ে ভ্যাকসিন ফের শুরু করা হবে। আমার মনে হয় আমাদের সেইভাবে তৈরি হতে হবে। বাড়বাড়ি হলে তবেই ভ্যাকসিন, অল্প কিছুর জন্য ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নেই।”
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৬ জন। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ হাজার ৩০২-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে ৬০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।