
কলকাতা: রাজ্যে কি লাগু হবে ওয়াকফ? বুধবারেই তা স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বাংলার সংখ্য়ালঘুদের আশ্বাস দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘দিদি আপনাদের সম্পত্তি রক্ষা করবে। বাংলায় এমন কিছু হবে না যাতে বিভাজন হয়।’ এদিন একই সুর শোনা গিয়েছে, সংখ্য়ালঘু পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মুখেও। মেদিনীপুরে একটি বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি স্পষ্ট করেছেন, ‘বাংলায় ওয়াকফ নয়।’
কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে? সংখ্য়ালঘুদের কি দূর হয়েছে ভয়? ওয়াকিবহাল বলছে, এখনও নয়। জঙ্গিপুরের পর থেকে বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদ, সংঘর্ষ, অশান্তি ও দিনশেষে ‘খোয়ানোর’ আশঙ্কা লেগেই রয়েছে সংখ্যালঘুদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সেই ইস্যুতেই কলকাতার রামলীলা ময়দানে সভার আয়োজন করেছিল রাজ্যের বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু সংগঠন।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও। রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজের অন্যতম মুখ তিনি। ওয়াকফ নিয়ে সুর চড়ান মন্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘কেন্দ্রের এই আইনের বিরুদ্ধে আমরা একটা রেজ়োলিউশন লিখেছি। তাতে লেখা রয়েছে, ওয়াকফ আইন আমরা মানব না। পাশাপাশি, এর বিরোধিতায় ১ কোটি সই করে তা মোদীর কাছেও পাঠাব।’
রামলীলা ময়দানে সভা
পাশাপাশি এদিন সিদ্দিকুল্লার মুখে শোনা গেল সম্প্রীতির বার্তাও। তিনি বলেন, ‘ওয়াকফ আইন হতেই মানুষের শরীর গরম হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমি বলব, আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। এমন কাজ করবেন না যাতে অন্যের মনে আঘাত লাগে।’ মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্পত্তির ‘হাতানোর’ পর দেশের আর সকল সংখ্য়ালঘুদেরও সম্পত্তি হাতিয়ে নেবে কেন্দ্র সরকার, এমন অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন অনেকেই। বৃহস্পতিবার, রামলীলা ময়দানে রাজ্যে এই সংখ্যালঘু মন্ত্রীর মুখে শোনা গেল সেই একই মন্তব্য। তাঁর কথায়, ‘শিখদের প্রাণ স্বর্ণমন্দির, কাল যদি এর উপর হামলা হয়, আমরা কি ওদের পাশে দাঁড়াব না? ওরা বলছে, এবার খ্রিস্টানদের পালা। দেশজুড়ে ওদের অনেক সম্পত্তি। কিন্তু কাল যদি ওদের কিছু হয় আমরা পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করব।’