কলকাতা: শুক্রবার নিউটাউনের সাপুরজির এক রেস্তোরাঁর মালিককে মারধর করে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক সোহম চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ওই হোটেল মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করছিলেন। সেই কারণে তিনি এই কাজ করেছেন। এ দিন, নিজের ভুল স্বীকার করে টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোহম জানিয়েছেন, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। হিট অফ দ্য মোমেন্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা না হওয়াই বাঞ্ছনীয় ছিল।
আজ সোহম ঘটনার পুঙ্খাণুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছেন টিভি ৯-কে। গতকাল ঠিক কী থেকে ঝামেলার সূত্রপাত তাও জানান তিনি। বলেন, “ছাদে আমাদের শ্যুট চলছিল। সেই সময় চিৎকার চেঁচামেচি ঝামেলার আওয়াজ পাই। এরপর উপর থেকে দেখি আমার নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের সঙ্গে হোটেল স্টাফদের ধাক্কাধাক্কি, বচসা হচ্ছে। আমি অবাক হয়ে যাই যে পুলিশের গায়ে হাত দিচ্ছে এ কী কাণ্ড।” সঙ্গে এও বলেন, “এরপর নিচে গিয়ে কথা বলি। আর একটা গাড়ি সরানো নিয়ে এত ঝামেলা কেন আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তারপর শুনি উনি বলছেন আমরা কোনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি না। কোনও বিধায়ক বুঝি না। এই সব উল্টো পাল্টা কথা বলেছেন।”
তৃণমূল বিধায়কের দাবি, “আমি তখনই রেগে গিয়েছি। আমিও দুএকটা কথা বলি। ধাক্কাধাক্কি হয়। হিট অফ দ্য মোমেন্ট আমি চড়-থাপ্পড় মারি। স্বীকার করছি। হয়ত হওয়া উচিৎ ছিল না। হয়ত এটতা মাথা গরম করা উচিৎ হয়নি।” এ দিকে, এই ঘটনায় হোটেল মালিক যদিও জানিয়েছেন তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। পাল্টা আবার এ প্রসঙ্গে সোহম বলেছেন, “ওনাকে চিনি না জানি না কেন ওঁর নামে মিথ্যে কথা বলতে যাব?”