
বেলেঘাটা: এই কয়েকদিন আগের ঘটনা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছিলেন, “দেড় মাসে ১০ তৃণমূল নেতা কর্মী খুন। থানা কী করছে?” তার এক সপ্তাহও গেল না। এবার খাস কলকাতায় তৃণমূল কর্মীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটার কালীতলা বোস লেনে। পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বাড়ির সামনে বন্ধুদের সঙ্গে বসেছিলেন তৃণমূল কর্মী তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। আচমকাই সৌরভ দাস এবং গুড্ডু নামের দুই যুবক ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় তাঁকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত তৃণমূল কর্মী ভর্তি রয়েছেন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে।
আহত তৃণমূল কর্মীর ভাই আশীস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাতে এগারোটা নাগাদ আমার দাদা সহ আরও তিনজন বসেছিল। আমি দেখে বাড়ি চলে যাই। ঠিক আমার কাছে ফোন এল। সকলে বলল দাদার উপর হামলা হয়েছে। জানতে পারলাম এগারোটা বেজে দশ নাগাদ সৌরভ দাস প্রথম এসে গালিগালাজ করে চলে যায়। এরপর হঠাৎ ব্যাক করে এসে কানাইদার কাছে ক্ষমা চায়। তারপর চলে যায়। খানিকবাদে কানাইদারা চলে যায়। তখন ফের আসে সৌরভ। এসে গুড্ডুকে বলে তুই আমার কেস পার্টনার হবি? তাহলে একে মারব। তখনই দাদা ভেবেছে ওকে মেশিন দিয়ে অ্যাটাক করতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে দাদা পালাতে চেষ্টা করে। এরপর সৌরভ ওকে বুকে ছুরি মারে। ওর দুটো জায়াগায় আঘাত লেগেছে। এরপর দাদা ওকে ধাক্কা মারে। গুড্ডু দাদার দুহাত ধরে নেয়। পরপর সৌরভ এলোপাথাড়ি ছুরি মারে। ওরা বাচ্চা ছেলে কয়েকদিন ধরে তৃণমূল করে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য কাজ করেছে।”