
কলকাতা: প্রতিদিন বদলাচ্ছে প্রযুক্তি। প্রভাব পড়ছে মূল্যবোধে, তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তা। সেই সময়েই আধ্যাত্মিক বুদ্ধিমত্তা বা স্পিরিচুয়াল ইনটেলিজেন্স-এর কথা বলতে শুরু হচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ড কনফ্লুয়েন্স অব হিউম্যানিটি, পাওয়ার অ্যান্ড স্পিরিচুয়ালিটি’ (WCHPS)। এই প্রোগ্রামের ১৬ তম সংস্করণের আয়োজন করা হয়েছে কলকাতায়। কানোরিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দু’দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠান হবে। ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর চলবে এই অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকবেন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব থেকে শিক্ষাবিদ, গবেষকরাও।
গত ১৫ বছর ধরে এই WCHPS-এর প্লাটফর্ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাণিজ্য, বিজ্ঞান থেকে শুরু করে আধ্যাত্মিকতা, সব বিষয়েই আলোচনা হয় সেই প্লাটফর্মে। কানোরিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. এইচ পি কানোরিয়া জানিয়েছেন, মানবতা আর আধ্যাত্মিকতাই আসল উন্নয়নের পথ দেখাবে। কলকাতা থেকে যে উদ্যোগের শুরু, সেটাই আজ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
মানুষের নিজস্ব জ্ঞান বা অনুভূতির উপর আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের কী প্রভাব, সেটাই এই ১৬ তম সংস্করণের মূল উপজীব্য বিষয় হবে বলে জানা গিয়েছে। মূল্যবোধ বা দায়িত্ববোধের ক্ষেত্রে স্পিরিচুয়াল ইনটেলিজেন্সের যে একটা বড় ভূমিকা আছে, তেমনটাই মনে করছেন আয়োজকরা। বিভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন বিশ্বাসের মানুষ উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। থাকবেন সিনিয়র পলিসি মেকার থেকে শুরু করে কূটনীতিবিদ, বিজ্ঞানী সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ তাঁদের বক্তব্য পেশ করবেন।
এর আগে এই অনুষ্ঠানের পূর্ব সংস্করণগুলিতে দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক কূটনীতিক, নোবেলজয়ীদেরও উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে এই অনুষ্ঠান করে হয়েছে।
কানোরিয়া ফাউন্ডেশনের হেডকোর্টার রয়েছে কলকাতায়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মহিলাদের উন্নয়ন থেকে শুরু করে পরিবেশ রক্ষা, সব ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে এই সংস্থার। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই সংস্থার উদ্দেশ্য হল, কূটনীতি সহ সব ক্ষেত্রে আধ্য়াত্মিকতা কত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা তুলে ধরা।