
কলকাতা: একদিকে যখন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের ভেরিফিকেশন চলছে, তখন অন্যদিকে, আজ রাস্তায় নেমেছে নবাগত ও পুরনো চাকরিপ্রার্থীরা। সোমবারের পর মঙ্গলবার আবারও করুণাময়ীতে বিক্ষোভ দেখান নবাগতরা। এদিকে আবার রাস্তায় যোগ্য চাকরিহারারাও। উভয়পক্ষেরই দাবি, শূন্যপদ বাড়াতে হবে। করুণাময়ীর সামনে তুমুল উত্তেজনা। চলছে পুলিশি ধরপাকড়ও।
মঙ্গলবার ভেরিফিকেশনের জন্য ৭০০ প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে। কিন্তু এবারে ‘কাট অফের’ চাপে পিছিয়ে পড়েছেন নবাগতরা। সঙ্গে আবার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বরের ইস্যু! ‘কাট অফ’ ৭০ শতাংশের বেশি, সেখানেই থমকে গিয়েছেন নতুনরা। পূর্ণ নম্বর ৬০ পেয়েও চাকরি হয়নি একাধিক প্রার্থীর। মোট ২০ হাজারের সামান্য বেশি প্রার্থী ডাক পেয়েছেন। এমনও অভিযোগ উঠছে, পূর্ণ নম্বর পেয়েও চাকরি হয়নি বহু প্রার্থীর। ইন-সার্ভিস শিক্ষকেরা অভিজ্ঞতার নম্বরের জোরে বাড়তি দশ নম্বর পেয়েছে। তারই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন নবাগতরা। পাশাপাশি তাঁরা শূন্যপদ বাড়ানোরও দাবি তুলেছেন।
একই দাবি যোগ্য চাকরিহারাদেরও। শূন্যপদ বাড়ানো নিয়ে অবশ্য সোমবারই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক স্তরে কথা হয়েছে। তবে আলোচনা খুবই প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। আইনি পরামর্শ নেবে বলেও শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন। এদিকে, শূন্যপদ যদি বাড়ে, সেক্ষেত্রেও নতুন করে আইনি জটিলতা তৈরি হবে, স্পষ্ট করে দিয়েছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। প্রশ্ন উঠছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাঝেই কি এভাবে শূন্যপদ বাড়ানো যায়? এর আগে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের তৈরি করা সুপার নিউমেরারি বা অতিরিক্ত শূন্যপদের সিদ্ধান্ত আদালতে ধাক্কা খেয়েছিল। বিকাশরঞ্জন বলেন, “এখন যদি বলে শূন্যপদ বাড়াব, এটা কী সম্ভব? সম্পূর্ণ বেআইনি। আরেকটা গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে।” যদিও তার পাল্টা শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্য, “মামলা তো করেছেন। মামলার ফল দেখে নিন। আমি তো মামলা ওয়েলকাম করছি।”
মামলা হলে বিশ বাঁও জলে পড়বে নিয়োগ প্রক্রিয়া। পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। সেক্ষেত্রে একে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, কমিশনের ওপর বাড়ছে চাপ।