
কলকাতা: সালটা ২০২৩। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে (NRS Medical College) ট্রলিতে ছটফট করতে করতে মারা যান মেঘনাদ চন্দ্র নামে এক যুবক। পরিবারের অভিযোগ ছিল, চারখানা সরকারি হাসপাতাল ঘুরেও তিনি কোনও চিকিৎসা পাননি। তা নিয়ে কম তোলপাড় হয়নি। বছর ঘুরেছে কিন্তু এই চিত্র কি আদৌ বদলেছে? সেই প্রশ্নই উঠল আরও একবার। এবার আর নীলরতন নয়, এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে বেড না পেয়ে স্ট্রেচারে খোলা আকাশের নীচে দুর্ঘটনাগ্রস্ত যুবক। পরে সেই খবর টিভি নাইন বাংলা সম্প্রচার করতেই রোগীকে ভর্তি নিতে তৎপর SSKM। এরপর টিভি নাইনের প্রতিনিধি সুব্রত দাসের বাবাকে সঙ্গে নিয়ে এমএসভিপি’র কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে ভর্তির আশ্বাস দেওয়া হয়।
কী ঘটেছে?
জানা গিয়েছে, গত ২৪ জুলাই গাড়ির ধাক্কায় মাথায় গুরুতর চোট পান বছর আঠারোর যুবক সুব্রত দাস। পরদিন এসএসকেএমের (SSKM) ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করে সুব্রতর অস্ত্রোপচার হয়। ২৯ অগস্ট সুব্রতকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ি যাওয়ার পর সুব্রতর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে দাবি পরিবারের। এরপর মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারের স্থান থেকে রস বেরোতে থাকে। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছটফট করতে থাকেন যুবক।ছেলের অস্থিরতা দেখে রবিবার রাতে ফের এসএসকেএমে নিয়ে আসেন বাবা। সেই থেকে অসহায়তার শুরু বলে দাবি পরিবারের।
রবিবার রাত থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত খোলা আকাশের নীচে স্ট্রেচারে বেডের জন্য অপেক্ষারত বাবা অমিত্য দাস। ‘একটা বেডের ব্যবস্থা করে দিন,নইলে একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে পারব না।’ ঠিক এইভাবেই অঝোর নয়নে কাতর আর্জি বাবা অমিত্য দাস ও মা দেবী দাসের। অমিত্য বলেন, “ওর ব্রেনের অপারেশন হয়েছে। রবিবার থেকে পড়ে আছে। হাসপাতাল থেকে বলছে বেড নেই।”