STF: চিংড়িহাটায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা STF-এর, ১২ ঘণ্টা ধরে চলছে তল্লাশি

STF: সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নাম মোমিন খান। বহুতলের পাঁচ তলায় তিনি থাকেন। তিনি পরিবার নিয়ে সদ্য এই ফ্ল্যাটে উঠেছেন।

STF: চিংড়িহাটায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা STF-এর, ১২ ঘণ্টা ধরে চলছে তল্লাশি
এই বাড়িতেই চলছে তল্লাশি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 8:26 AM

কলকাতা: চিংড়িহাটার সুকান্ত নগরে রাজ্যপুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (STF)-এর তল্লাশি। একটি বহুতলের পাঁচ তলার একটি ফ্ল্যাটে চলেছে তল্লাশি অভিযান। ওই ফ্ল্যাটের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলছে এই অভিযান। সম্প্রতি তিনি সেখানে এসেছেন বলেও এলাকাবাসী বলেছেন।

সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নাম মোমিন খান। বহুতলের পাঁচ তলায় তিনি থাকেন। তিনি পরিবার নিয়ে সদ্য এই ফ্ল্যাটে উঠেছেন। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতেই তল্লাশি চালাচ্ছে এসটিএফ। এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, ওই ব্যক্তি আশপাশের লোকজনের সঙ্গে তেমন একটা কথা বলতেন না। জানা গিয়েছে, STF-এর প্রায় ১২ জন প্রতিনিধি এদিন এসেছেন ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। তবে কী কারণে এই তল্লাশি তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আরও জানা গিয়েছে, পার্কসার্কাস এলাকার একটি বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই এই ঠিকানার খোঁজ তাঁরা পান। এরপরই দু’টি গাড়িতে চড়ে এসটিএফ এর গোয়েন্দারা এই বহুতলে আসেন। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে বড় গাড়ি নিয়ে আনাগোনা করতেন অনেকেই। তাই ঠিক চলত এই ফ্ল্যাটে সেই বিষয়টিই খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই রাজ্যপুলিশের এসটিএফ-এর হাতে ধরা পড়ে চারজন বাংলাদেশি। পুলিশের সন্দেহ তাঁদের সঙ্গে জঙ্গিযোগ ছিল। গত শনিবার সকালে ধৃতদের গ্রেফতার করা হয় সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে।পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম এসকে আবদুল্লা (২৪) বাড়ি ঢাকায়। ইমাম হোসেন (২৬)। তাঁর বাড়ি চট্টোগ্রামে। অবদুর সবুর (২৪)। তিনি চট্টোগ্রামের বাসিন্দা, এবং এমডি খইরুল ইসলাম (২৭)। তিনি খুলনা জেলায় থাকেন।

জানা গিয়েছে, এই চার অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি জাল নথি বানিয়ে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। শুধু তাই নয়,দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এখানে থেকে ভারতে প্রবেশের জাল নথি বানিয়ে অন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের এদেশে প্রবেশে সহায়তা করছে। অভিযোগ, এই বেআইনি নথির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশ করতে সাহায্য করেন এরা।