কলকাতা: এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। মহেশতলার মোল্লার গেটে সন্তোষপুর গভমেন্ট কলোনি এলাকায় বাড়ির বাথরুম থেকে ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সৌভিক অধিকারী। সে সন্তোষপুর গর্ভমেন্ট কলোনি নেতাজি সুভাষ বিদ্যালয়ের ছাত্র। পরিবার সূত্রে যেমনটা জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ঘরেই পড়াশোনা করছিল সৌভিক। মাঝে বাথরুমে যায়। বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর বাইরে না বেরোলে বাড়ির লোকজন বাথরুমের দরজা ধাক্কা দিতে থাকেন।
সাড়া না মেলায় বাথরুমের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিল সৌভিক। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে তাকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরীক্ষার আগেই কেন সৌভিক এরকম করল, তা নিয়ে ধন্দে পরিবারের সদস্যরাও। বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই খড়দায় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল খড়দার শ্রীপল্লি এলাকায়। মৃতের নাম অরিত্রিকা সেনগুপ্ত। অরিত্রিকা খড়দহ কল্যাণ নগর স্কুলের ছাত্রী ছিল। মাধ্যমিকের সিট পড়েছিল খড়দহ পাতুলিয়া হাই স্কুলে। ইতিহাস পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিল অরিত্রিকা। পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিল সে। বাড়িতে মায়ের সঙ্গে বসে খাবারও খায়। তারপর নিজের ঘরে চলে যায়। তারপরই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহের পাশ থেকে সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ। তাতেই পরীক্ষা ভালো না হওয়ার কথা বলা ছিল।