রবিবার বিকেলে হঠাৎই নবান্নে সস্ত্রীক আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
শুক্রবারই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রের পত্রবোমা। রাজ্যের মুখ্যসচিবের পদ ছেড়ে দিল্লির নর্থ ব্লকের দফতরে যেতে হবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কলকাতা: এই মুহূর্তে রাজ্যে সবথেকে চর্চিত নাম আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandapadhyay)। বাংলার মুখ্যসচিব এবং অবশ্যই প্রশাসনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম আস্থাভাজন। সোমবার মুখ্যসচিব হিসাবে তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অন্যদিকে এদিনই সকালে দিল্লির নর্থ ব্লকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কী করবেন তিনি, সেদিকে নজর বিভিন্ন মহলের। এরইমধ্যে রবিবার বিকেলে হঠাৎই সস্ত্রীক নবান্নে হাজির হলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ নিজের দফতরে সময়ও কাটালেন।
শুক্রবারই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রের পত্রবোমা। রাজ্যের মুখ্যসচিবের পদ ছেড়ে দিল্লির নর্থ ব্লকের দফতরে যেতে হবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ৩১ মে রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসাবে তাঁর মেয়াদ ফুরোচ্ছে। এদিনই দিল্লিতে যেতে হবে তাঁকে। সকাল ১০টার মধ্যে কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকে (ডিওপিটি) যোগ দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
এরপরই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আদৌ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে যাবেন, নাকি রাজ্যেই থেকে যাবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। নবান্ন সূত্রে খবর, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার সচিবালয়ে যাবেন। বৈঠকও করবেন। তেমনটা যদি হয়, তা হলে সকাল ১০টার মধ্যে অন্তত তাঁর দিল্লি যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু তিনি যদি দিল্লি না যান, তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও নানা ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আলাপনে কড়াকড়ি, দিলীপ-শুভেন্দুদের ‘সেন্সর’ কেন্দ্রীয় বিজেপির
এতকিছুর মধ্যেই রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ নবান্নে যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তী। নবান্নে গিয়ে সোজা নিজের ঘরে চলে যান তিনি। যে ঘরে বসে তিনি প্রশাসনিক সমস্ত দায়িত্ব সামলান। নবান্ন সূত্রে খবর, সেই সময় ঘরে স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ যাননি। এমনকী তাঁর ব্যক্তিগত সচিবও সেখানে ছিলেন না। কাজের মেয়াদ ফুরোনোর ঠিক আগের দিন কেন মুখ্যসচিব নবান্নে গেলেন তা স্পষ্ট নয়। তবে এদিন বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা প্রায় ৭টা ৪৪ পর্যন্ত নবান্নেই ছিলেন আলাপনবাবু।