কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বেঁকে বসেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ওষুধ, খাবার কোনওটাই খেতে চাইছিলেন না তিনি। চিকিৎসকেরা বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কার্যত অনশন শুরু করেছিলেন তিনি। তবে সে অনশন কয়েক ঘণ্টার। বুধবার বিকেল থেকে ওষুধ, খাবার সবই খাচ্ছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণের শরীরেও তেমন কোনও সমস্যা নেই।
মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুজয়কৃষ্ণকে। রাতভর না খাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছিল চিকিৎসকদের। কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকেরা একাধিকবার বোঝানোর চেষ্টা করেন তাঁকে। কোনও লাভ হয়নি। পরে তাঁর মেয়ে হাসপাতালে যান, তাঁর কথাও শোনেননি বাবা। বিকেলের পর ‘অনশন’ প্রত্যাহার করেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় বেসরকারি হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়। অপারেশন হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে সেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। পরে ফের বুকে ব্যথা হওয়ায় এসএসকেএম-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসএসকেএম সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণের যে বাইপাস সার্জারি হয়েছিল তার সেলাই কেটে দেওয়া হয়েছে।
সবরকমের শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়েছে। ইসিজি, ইকো কার্ডিওগ্রাফি ও টিওপিটি পরীক্ষা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সবকটি পরীক্ষাতেই রিপোর্ট ভাল এসেছে। রক্তে কিছু সংক্রমণ ধরা পড়েছে তবে তা অস্ত্রোপচারের পরে হয়ে থাকে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। উদ্বেগের তেমন কোনও কারণ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কবে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে, তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে এক সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। এরপর ইডি-র তরফ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যেখানে সুজয়কৃষ্ণকে ওই সংস্থার চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে নাম রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।