Firecrackers in Diwali: ‘সব বাজি নিষিদ্ধ নয়’, হাইকোর্টের রায় খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে

Supreme Court: সবুজ আতসবাজি আমদানির সময় যাচাই করা যাবে কি না, জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সবুজ আতসবাজিতে বাধা নেই শীর্ষ আদালতের।

Firecrackers in Diwali: 'সব বাজি নিষিদ্ধ নয়', হাইকোর্টের রায় খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে
সুপ্রিম কোর্টে বাজি মামলা
Follow Us:
| Updated on: Nov 01, 2021 | 4:47 PM

নয়া দিল্লি: বাজি নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায় খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্টের দাবি, পরিবেশ বান্ধব বাজি (Green Firecracker) বিক্রি করা হোক। পরিবেশ বান্ধব বাজিই বিক্রি হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। তবে সব বাজি নিষিদ্ধ, এমনটা হতে পারে না বলেই মত শীর্ষ আদালতের। কালি পুজো (Kali puja) ও দিপাবলীতে (Diwali) কোনও ধরনের বাজিই ফাটানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল আতসবাজি উন্নয়ন সমিতি। বিচারপতি এনএম খানউইলকর ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগীর বেঞ্চে আজ ছিল সেই মামলার শুনানি।

সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছিল, পরিবেশের পরিস্থিনি অনুকূল থাকলে পরিবেশ বান্ধব বাজির ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না। সেই নির্দেশ সব রাজ্যের জন্য প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও সেই নিয়ম মানতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাজি নিয়ে হাইকোর্টের আলাদা রায়ে অখুশি সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন বলে দিয়েছে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের আদেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্ট আগেই বাজি সম্পূর্ণ বন্ধ করার নির্দেশের বিরোধিতা করেছিল, আজ আবার সে কথাই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, পরিবেশ বান্ধব বাজি ব্যবহার হোক। বাতাসের একিউআই লেভেল বা বাতাসের মান যেখানে খারাপ, সেখানে পরিবেশ বান্ধব বাজি ফাটানো যাবে না। তার জন্য পুলিশকে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু বাজি একেবারে নিষিদ্ধ করা যাবে না বলেই নির্দেশ আদালতের। ফলে আপাতত পরিবেশ বান্ধব বাজি কেনা বা বিক্রির ক্ষেত্রে কোনও বাধা রইল না।

রাজ্যে কি পাওয়া যায় পরিবেশ বান্ধব বাজি?

এ দিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এ রাজ্যে পরিবেশ বান্ধব বা গ্রিন বাজি তৈরির কোনও কারখানা নেই। সে ক্ষেত্রে বাইরে থেকে গ্রিন বাজি আমদানি করতে হয়। আদালতে বাজি প্রস্তুতকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই সেই সব বাজি রাজ্যে এসে গিয়েছে। সেগুলি কিইউআর কোডও মিলিয়ে দেখা হয়েছে। ফলে সে সব বাজি বিক্রি করা সম্ভব।

আদালতের এই রায়ে খুশি আতসবাজি ব্যবসায়ীরা। আতসবাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা বাবলা রায় এ দিন বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট ভুল রায় দিয়েছিল। সেই রায় খারিজ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ সুপ্রিম কোর্টকে। তিনি মনে করেন, এটা শুধু ৩১ লক্ষ ব্যবসায়ী জয় নয়, এটা বাংলার মানুষের জয়। তাই বাংরা মানুষকে সরকারি নির্দেশ মেনে, নির্ধারিত সময়েই বাজি ফাটানোর আর্জি জানান তিনি। তিনি আরও জানান, এ রাজ্যে পরিবেশ বান্ধব বাজির কোনও অভাব নেই।

কী বলা হয়েছিল হাইকোর্টের রায়ে

সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করে কলকাতা হাইকোর্ট। ‘পরিবেশ বান্ধব’ তথা সবুজ বাজিতেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, ছটপুজোতে কোনওরকম বাজিই ফাটানো যাবে না বলে নির্দেশ দেয় আদালত।

বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, সবুজ বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার্স কোনও রকম ক্ষতি করে না, এমন প্রমাণ মেলেনি। সবুজ বাজি পরীক্ষা করাও সম্ভব নয়। তাই অতিমারিকে মাথায় রেখে এবং এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের কথা ভেবে এবার পুজোয় সবরকমের বাজিই নিষিদ্ধ করা হয়। কালীপুজো, দীপাবলি, জগদ্ধাত্রী পুজো, ছটপুজোর পাশাপাশি ক্রিসমাস কিংবা নিউ ইয়ারেও বাজি ব্যবহার চলবে না বলে জানিয়েছিল আদালত।

আরও পড়ুন: Madhyamik-HS 2022 date Announce: আগামী বছর ৭ মার্চ থেকে মাধ্যমিক শুরু, ২ এপ্রিল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক