কলকাতা ও নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে মহিলা আসন সংরক্ষণে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই বিল কার্যকর হলে বাড়বে দেশের মহিলা সাংসদদের সংখ্যা। বর্তমানে দেশে মহিলা সাংসদের সংখ্যা ৭৮। বিল কার্যকর হলে তা বেড়ে ১৭৯ হতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি থেকে। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেমন এই সিদ্ধান্তকে এক ‘যুগান্তকারী’ পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন। বলছেন, ‘নারীশক্তির উত্থানের ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীর ক্যাবিনেটের এই সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী।’
রাজ্যসভা ও লোকসভাতেও এই প্রস্তাব সমর্থন পাবে বলে আশাবাদী শুভেন্দু। বলছেন, ‘আমরা কেউ ভারতকে পিতা বলি না, মাতা বলি। নারীশক্তির উত্থান মানে, আমাদের ভারতমাতার উত্থান। আশা করব, লোকসভা ও রাজ্যসভায় ক্ষুদ্র, দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সবাই সমর্থন করবেন।’
এদিকে বার্সেলোনা থেকে ভিডিয়ো বার্তায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষও। তিনি অবশ্য বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস আগে থেকেই মহিলাদের সর্বক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয় এবং এর জন্য তৃণমূলের আলাদা কোনও বিলের প্রয়োজন হয়নি।
তৃণমূল মুখপাত্র বলেছেন, ‘কেন্দ্র মহিলাদের বিল নতুন করে কী আনবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মহিলাদের স্বীকৃতি দেয়। সংরক্ষণ আলাদা করে আনতে হয় না, দলের বিভিন্ন পদে মহিলা সবথেকে বেশি। পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধানসভা, লোকসভায় তৃণমূলের যত জন মহিলা সদস্য রয়েছেন, অন্য কোনও দলের তা নেই।’ কুণাল ঘোষের বক্তব্য, বাকিরা যা এখন ভাবছে, তৃণমূল তা অনেক আগে থেকেই ভেবে রাখে।