Suvendu Adhikari: ‘রাত ১টায় আগুন, ৪টেয় দমকল, প্ল্যানিংটা জানেন তো?’, খিদিরপুরে দাঁড়িয়ে বললেন শুভেন্দু

Suvendu Adhikari: উল্লেখ্য, সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ লক্ষ টাকা ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ হাজার টাকা কাচামাল কেনার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সঙ্গে তাদের বিকল্প জায়গায় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দোকান করে দেওয়ার কথাও বলেছেন।

Suvendu Adhikari: রাত ১টায় আগুন, ৪টেয় দমকল, প্ল্যানিংটা জানেন তো?, খিদিরপুরে দাঁড়িয়ে বললেন শুভেন্দু
খিদিরপুর মার্কেটে শুভেন্দু অধিকারীImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 17, 2025 | 12:38 PM

কলকাতা:  মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার পরদিনই পুড়ে খাক খিদিরপুর মার্কেটে পৌঁছলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং, অর্জুন সিং। খিদিরপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বললেন, “আমি জমি রক্ষা আন্দোলনে ডক্টরেট।” বললেন, “রাত ১টায় আগুন, ভোর চারটেয় কেন দমকল? প্ল্যানিংটা বুঝছেন তো? ” কিন্তু খিদিরপুরে জতুগৃহ খিদিরপুর বাজারে দাঁড়িয়ে কেন একথা বললেন শুভেন্দু। রবিবার রাতে আগুন লাগার পিছনে কোনও দূরভিসন্ধি থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এও জানিয়ে গেলেন যে, তাঁরা হকের দাবিতে আন্দোলনে নামলে তিনি তাঁদের পাশে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ লক্ষ টাকা ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ হাজার টাকা করে কাচামাল কেনার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সঙ্গে তাদের বিকল্প জায়গায় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দোকান করে দেওয়ার কথাও বলেছেন। কিন্তু এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এদিন শুভেন্দু সেই ইস্যুকেই চড়িয়ে বলেন, “আমরা সবাই একসঙ্গে আপনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে সামিল হতে প্রস্তুত। প্রশাসন যদি ঘর-দোকান ভাঙতে আসে, আপনারা ভাঙতে দেবেন না।” রাত ১টায় আগুন লাগে, কিন্তু কেন ভোর চারটেয় দমকল এল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শুভেন্দুর এই প্রশ্ন যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী।

শুভেন্দুর স্পষ্ট বক্তব্য, “কোনও ঝান্ডা নয়, কোনও রাজনৈতিক দল নয়, হকের দাবিতে লড়াই হবে একসঙ্গে। ” শুভেন্দুর তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত, ” বিকল্প জায়গা ঠিক করা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আসলে গোটা এলাকা বেচে দিয়েছেন। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল, চিড়িয়াখানা বেচে দিয়েছেন। বাকি রয়েছে আপনাদের এই এলাকা। শপিং মল হবে, বিউটি পার্লার হবে।”

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা যাতে কোনওভাবেই নিজেদের জায়গা না ছাড়েন, সেকথা বারবার এদিন বুঝিয়ে যান শুভেন্দু। এর আগে সিপিএম এই ঘটনা ম্যান মেড অগ্নিকাণ্ডের তত্ত্ব খাড়া করেছে। বিজেপি-ও সেদিকেই ইঙ্গিত দিয়ে গেল।