কলকাতা: নতুন বার্তা এল স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এবার প্রবেশ করা যাবে না স্বাস্থ্য ভবনে। চিরকুটে কর্তৃপক্ষ লিখে দিলে তবেই প্রবেশ মিলবে। আর এই নয়া ফরমান আসতেই ফের জল্পনা বেড়েছে। তবে কি ঘনঘন চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য ভবন চলে আসছেন সেই কারণে তাঁদের রুখে এই পদক্ষেপ?
কী বার্তা দেওয়া হয়েছে?
জানা যাচ্ছে, লিখিত কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজগুলির কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছে বার্তা। আর এই মেসেজ পাঠিয়েছেন স্পেশাল সেক্রেটারি মেডিক্যাল এডুকেশন। সংশ্লিষ্ট বার্তায় বলা হয়েছে, যে সময় চিকিৎসকদের মেডিক্যাল কলেজে থাকার কথা, তাঁরা ঘনঘন স্বাস্থ্য ভবনে চলে আসছেন। সেই কারণেই এবার থেকে বিভাগীয় প্রধানের অ্যাপ্রুভাল স্লিপ নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে প্রবেশ করার জন্য বলা হয়েছে চিকিৎসকদের। তবে সিনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, স্বাস্থ্য ভবন কোনও ঘোরার জায়গা নয়। হাসপাতালের কাজেই তাঁদের যেতে হয়। ডিউটি করেই যেতেই হয়। ফলত এই বার্তা আদতে নজরদারি বলেই মনে করছেন জুনিয়র সিনিয়র চিকিৎসকরা।
জেডিএফ সদস্য স্নিগ্ধা হাজরা বলেন, “হোয়াটস অ্যাপে যদি আমাদের এইচওডি-কে কোনও মেসেজ পাঠানো হয়, তাহলে তা গুরুত্ব দেওয়া হবে না। এমন নোটিসের পিছনে কী কারণ বোঝা যাচ্ছে না। ওঁরা কি থ্রেট ফিল করছেন? যদি কেউ একসঙ্গে চলে যান ওঁদের অসুবিধা হবে?” অপরদিকে, এএইচএসডি সম্পাদক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উনি যদি মনে করেন ওঁর এই আদেশনামার জন্য মানুষ ক্ষোভ-যন্ত্রণা জানাতে স্বাস্থ্য ভবন যাবেন না সেটা উনি ঠিক ভাবছেন না।” বস্তুত, তিলোত্তমার ঘটনার পর বিভিন্ন দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও করেন তাঁরা। এই ঘটনার এক মাস পরই এই বার্তা নিতান্ত জল্পনা বাড়িয়েছে।