Teacher Problem: বড়দের এই SIR-এ ‘স্যর’ ছাড়া ছোটরা, স্কুলগুলো ভুগছে শিক্ষকহীনতায়

Teacher Problem On SIR Situation: বাংলায় প্রাথমিক স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে এমন অনেক স্কুল রয়েছে, যেখানে এক জন মাত্র শিক্ষক রয়েছেন। তিনিই পুরো স্কুলের দায়িত্বে। তিনিই পড়ান, তিনিই আবার সামলান মিড ডে মিলের দায়িত্ব। আপাতত এরকমই চার হাজার স্কুলের নাম উঠে আসছে। যেখানে স্কুলের একজনই শিক্ষক, তিনিই আবার BLO হয়ে গিয়েছেন।

Teacher Problem: বড়দের এই SIR-এ স্যর ছাড়া ছোটরা, স্কুলগুলো ভুগছে শিক্ষকহীনতায়
SIR আবহে শিক্ষকশূন্য স্কুলImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 05, 2025 | 1:17 PM

কলকাতা: এসআইআর ফুলটাইম জব! স্পষ্ট করে দিল নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তি বিএলও-দের কাছে জেলাশাসকরা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে আপাতত স্কুলে যেতে হবে না বলে আশাবাদী বিএলও-রা। SIR-এর সময়ে অন ডিউটির দাবির মধ্যেই নতুন নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। কিন্তু এই SIR আবহে বাংলার স্কুলগুলো গভীর সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। প্রায় চার হাজারের বেশি স্কুল শিক্ষক শূন্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সমস্যা মেটাতে পাশের স্কুল থেকে শিক্ষকদের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা শিক্ষা বিভাগের।

বাংলায় প্রাথমিক স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে এমন অনেক স্কুল রয়েছে, যেখানে এক জন মাত্র শিক্ষক রয়েছেন। তিনিই পুরো স্কুলের দায়িত্বে। তিনিই পড়ান, তিনিই আবার সামলান মিড ডে মিলের দায়িত্ব। আপাতত এরকমই চার হাজার স্কুলের নাম উঠে আসছে। যেখানে স্কুলের একজনই শিক্ষক, তিনিই আবার BLO হয়ে গিয়েছেন।

তাহলে প্রশ্ন, সেই সমস্ত স্কুলগুলোতে পঠনপাঠন কী হবে? জেলা শিক্ষা প্রশাসন আপাতত একটি ব্যবস্থা করেছে। পাশের যে স্কুল, যেখানে এক জনের বেশি শিক্ষক রয়েছেন, তাঁদেরকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। SI-দের বলা হচ্ছে, ওই পাশের স্কুল থেকে একজন শিক্ষককে নিয়ে অন্ততপক্ষে পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে। এই ক’টা নিয়ে এইভাবেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে শিক্ষা দফতর। তবে শিক্ষাবীদদের কথায়, এই ব্যবস্থা অত্যন্ত অপরিকল্পিত।

উল্লেখ্য, CEC জ্ঞানেশ কুমার আগেই বলেছিলেন যে BLO- ফুলটাইম জব! কিন্তু তারপরও কোথাও গিয়ে একটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। দিনের এক সময়ে BLO-র কর্তব্য সামলে ফের কাজে ফিরতে হবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হচ্ছিল। নির্বাচন কমিশন আরও একবার স্পষ্ট করে দিল, BLO ফুলটাইম জব। যদিও শিক্ষাদফতরের তরফ থেকে আলাদা করে ছাড় দেয়নি। কোনও লিখিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি যে, স্কুলে যেতে হবে না, স্কুলের কোনও কাজ করতে হবে। ফলে কেবল মৌখিক নির্দেশিকাতেই ধন্দ এখনও জিইয়ে রয়েছে।

বিহারের ক্ষেত্রে সেই রাজ্যের মুখ্যসচিব বিএলও-দের এই বিষয়ে ছাড় দিয়েছিলেন। বাংলায় এখনও মুখ্যসচিবের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। স্কুলের শিক্ষকরা মনে করছেন, কমিশনের এই নির্দেশিকাকে হাতিয়ার করে তাঁরা আপাতত স্কুলে না যেতে পারেন।