Bhagvat Geeta Chanting: গীতাপাঠ করে কলকাতা কি গিনেস বুকে নাম লেখাবে? রাজ্যে আসছেন ৫ প্রতিনিধি
Bhagvat Geeta Chanting: প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকবেন গিনেস বুকের প্রতিনিধিরা।
কলকাতা: ব্রিগেড জুড়ে গীতাপাঠ করবেন লক্ষাধিক মানুষ। লক্ষ কন্ঠে উচ্চারিত হবে ‘যদা যদা হি ধর্মস্য…’। বেজে উঠবে হাজার হাজার শঙ্খ। আগামী ২৪ ডিসেম্বর সেই অনুষ্ঠানের তোড়জোড় শুরু হয়েছে পুরোদমে। শুধুমাত্র রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নয়, ভিনরাজ্য থেকেও সেই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে আসছেন বহু মানুষ। উপস্থিত থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’-এর প্রতিনিধিরাও। একসঙ্গে এত মানুষের গীতাপাঠের নজির খুব একটা নেই।
অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রমের মতো সংগঠনগুলি একসঙ্গে এই গীতাপাঠের আয়োজন করেছে। গিনেস বুক-এর তরফ থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, উপস্থিত থাকবেন তাদের পাঁচ প্রতিনিধি। মূলত চারটি বিষয় দেখবেন এরা।
প্রথমত, এই প্রথমবার লক্ষাধিক কন্ঠে গীতাপাঠ করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, ২০ হাজারের বেশি শঙ্খ একসঙ্গে বাজানো হবে। তৃতীয়ত, এক লক্ষ কন্ঠে গাওয়া হবে কাজি নজরুল ইসলামের গান, চতুর্থত, একসঙ্গে দেড় হাজারের বেশি সাধু সন্ত উপস্থিত থাকবেন ব্রিগেডে। অর্থাৎ বিশ্ব রেকর্ডের তকমাও পেতে পারে বাংলার এই গীতাপাঠ।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
মহাভারতের অংশ হল ‘ভগবত গীতা’। কৃষ্ণ ও অর্জুনের কথোপকথনের সংকলনেই এই গ্রন্থ। মনে করা হয়, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে জন্ম গীতার। সেই কারণে এই দিনটিতে পালন করা হয় গীতা জয়ন্তী। সেই উপলক্ষেই এই গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছে।