কলকাতা: নতুন রাজ্যপাল পেল বাংলা। পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে বাংলার দায়িত্বে ড. সিভি আনন্দ বোস (Dr. C.V. Ananda Bose)। বৃহস্পতিবারই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে নতুন রাজ্যপালের নাম ঘোষণা করা হয়। জগদীপ ধনখড়ের পর এই পদে আসেন লা গণেশন। তবে তিনি অস্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন। তিনি মণিপুরের রাজ্যপাল। অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বাংলার। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, বাংলায় স্থায়ী রাজ্যপাল না মনোনীত হওয়া পর্যন্ত লা গণেশন দায়িত্ব সামলাবেন। বৃহস্পতিবার স্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে সিভি আনন্দ বোসের নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন রাজ্যপালের পদবি শুনে বাঙালি মনে হলেও কেরলে তাঁর জন্ম।
১৯৭৭ সালে আইএএসে যোগ দেন সিভি আনন্দ বোস। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। শিক্ষা, বন, পরিবেশের মতো দফতরের প্রধান সচিবের পাশাপাশি জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, রেভিনিউ বোর্ডেরও দায়িত্ব সামলেছেন। লেখালেখিরও অভ্যাস রয়েছে বাংলার নতুন রাজ্যপালের। ইংরাজি, হিন্দির পাশাপাশি মালয়ালমে ছোট গল্প, কবিতা, উপন্যাস লিখেছেন সিভি আনন্দ বোস। তাঁর লেখা বেশ কিছু বই বেস্ট সেলারও হয়েছে।
প্রাক্তন এই আইএএস এবার বাংলার রাজ্যপাল পদে। এখন তিনি মেঘালয় সরকারের মুখ্য পরামর্শদাতা তিনি। রাজ্যপাল হিসাবে জগদীপ ধনখড়ের ভূমিকা নিয়ে যতটাই সন্তোষ দেখা গিয়েছিল বিজেপির অন্দরে, অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের ভূমিকায় ততটা খুশি ছিল না বিজেপি। গত কয়েকদিনে একাধিকবার হাবেভাবে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যরা। বিশেষ করে অখিল গিরি-বিতর্কে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ না পেয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য স্পষ্ট বুঝিয়ে ছিল, অস্থায়ী রাজ্যপালে তাঁরা সন্তুষ্ট নন।
অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে প্রথম থেকেই লা গণেশনের সুসম্পর্ক দেখা গিয়েছে। তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় -সহ শাসকদলের একাধিক নেতা। মমতার বাড়ির কালীপুজোতে গিয়েছিলেন লা গণেশন। লা গণেশনের দাদার জন্মদিনে চেন্নাইয়ে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গিয়েওছিলেন সেখানে।