
কলকাতা: ২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট। বউবাজারে মেট্রো সুরঙ্গে ধস নেমে বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। ভেঙে পড়ে একাধিক বাড়ি। আহত হন বহু। সেই বিপর্যয়ের চার বছর পার। এখনও আতঙ্কের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেননি ক্ষতিগ্রস্তরা। সেসময়ে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছিল KMRCL। চার বছর পর ক্ষতিগ্রস্তরা কেমন রয়েছেন? আদৌ কি ক্ষতিপূরণ পেলেন? সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখল TV9 Bangla।
নির্মল চন্দ্র স্ট্রিটের পূ্র্ব দিকে দুর্গা পিথুরি লেন, স্যাকরা পাড়া লেন বা চৈতন সেন স্ট্রিটের সেই বাড়িগুলির পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি। মেট্রোর কাজ এখনও চলছে। প্রতিশ্রুতি থেকে গিয়েছে প্রতিশ্রুতিতেই। অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। বাড়িগুলির দেওয়ালে এখনও ক্ষত দগদগে। ফাটল চওড়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর মেট্রোর তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, বাড়িগুলিকে মেরামত করে দেওয়া হবে। কিন্তু চার বছর পর সেই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বাড়িগুলির পরিস্থিতি বদলায়নি কিছুই।
ক্ষতিগ্রস্তদের এক জন বলেন, “প্রতিশ্রুতি পালন তো কিছুই করেনি। বরং প্রতারণাই হয়েছে। রেল আমাদের একটার পর একটা ডেট দিচ্ছে। যেই ডেট পেরিয়ে যাচ্ছে, তখন আবার পরে ডেট। শুধু বলে যাচ্ছে বাড়ি হবে, পাড়া হবে, সব ঠিক হবে। কিন্তু কিছুই কাজ করেনি। উল্টে ওরা আরও ডেসপারেট হয়ে গিয়েছে। এখন কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের কী যে কবে, সেটা নিয়ে ভাবছেও না।”
দুর্ঘটনার পর ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর দায়িত্বে থাকা কলকাতা মেট্রো কর্পোরেশন প্রাইভেট লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তিবিদরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন। সেসময়ে মেট্রোর মাটি পরীক্ষাতেও গলদ ধরা পড়েছিল। তারপর কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল কাজ। ক্ষতিগ্রস্তরাই বলছেন, ঘটনার পর রোজ মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ার, উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আসতেন। পরীক্ষা করতেন, মাটি দেখতেন, চলে যেতেন। কিন্তু এখন সে সবও অতীত। তাঁদের কথায়, প্রতিশ্রুতি থেকে গিয়েছে তিমিরেই।
যদিও কেএমআরসিএল-এর জেনারেল ম্যানেজার এ কে নন্দী বলেন, “আমরা ক্ষতিপূরণ সব রকমভাবে দিচ্ছি। প্রশাসনের তরফ থেকে যেরকমভাবে তালিকা দেওয়া হচ্ছে, সেরকমভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রথম দিকে কিছুটা সমন্বয়ের অভাব ছিল। এখন আর কোনও সমস্যা নেই।”