কলকাতা: নতুন করে আবারও বুথ কমিটি তৈরির কাজে হাত দিল রাজ্য বিজেপি। পরাজিত এবং দুর্বল বুথ গুলিতে শুরু হয়েছে ‘সশক্তিকরণ’-এর কাজ। সম্প্রতি দলের বিস্তারিত নথি নিয়ে রাজ্য থেকে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয় কেন্দ্রে। সেখানে উল্লেখ থাকে, প্রায় ১০ হাজার বুথে এখনও কোনও কমিটিই নেই। যা দেখে বিস্মিত বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেই কারণে সংগঠনকে ঢেলে সাজাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। জমি এক ইঞ্চিও ছাড়তে নারাজ পদ্ম শিবির। তাই শুরু হয়েছে সশক্তিকরণ অভিযান। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে বুথ সশক্তিকরণের কাজ। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাঠানো রিপোর্টে রাজ্য নেতৃত্ব স্বীকার করেছেন কয়েকটি জায়গায় সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা। ইতিমধ্যেই সংগঠনকে মজবুত করার কাজ শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। যে যে জায়গায় সংগঠন দুর্বল সেখানে বিস্তারক পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে যে, ৫০ শতাংশ কার্যকর্তাকে এই বুথ সশক্তিকরণের কাজে যোগ দেওয়াতেই হবে।
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, ‘১ মণ্ডলে ১ দিন’ প্রবাস করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি মণ্ডলে একদিন করে প্রবাস কর্মসূচি পালন করতে হবে। এছাড়াও মণ্ডল কিট তৈরি করে প্রবাসী কার্যকর্তাদের দিতে হবে। শুধু তাই নয়, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ বানিয়ে মণ্ডল এবং বিধানসভার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
এর আগও জনসংযোগকে বাড়াতে রাজ্য নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দুর্গাপুজোয় জনসংযোগে জোর দেওয়ার জন্য বিজেপির তরফে বিশেষ নির্দেশও দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, দুর্গাপুজোতে প্রত্যেক ব্লকে একটি করে পুজোতে নেতাদের যুক্ত থাকতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় দল। সম্প্রতি, সংগঠনকে ঢেলে সাজান পদ্ম শিবিরের নেতারা। প্রতি লোকসভা কেন্দ্র পিছু একটি সাংগঠনিক জেলা গঠন করা হয়। সেই জেলা সভাপতি করা হয় ছ’জন বিধায়ক। ফলত, লোকসভায় যে কোনও ভাবেই জমি হারাতে চাইছে না তারা তা আরও একবার স্পষ্ট হল।
বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য বলছেন, “কোনও রাজনৈতিক দল যদি কোনও অবস্থায়, তার চলার পথে সাংগঠনিক বিষয়ে সন্তুষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তার স্বাভাবিক বিস্তার কমে যায়। এটা একটা পদ্ধতি, সারা বছর ধরে চলছে। এটায় লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনোর কোনও বিষয় নেই।”