AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলা ফের হাইকোর্টে যেতেই চটলেন মমতা, বললেন, ‘এটা অন্যায়’

CM Mamata Banerjee: "চাকরি পেলে আমি কখনও দেখি না, এ পাচ্ছে না বি পাচ্ছে, নাকি সি নাকি ডি পাচ্ছে। চাকরি পাবে ৩৫ হাজার ছেলেমেয়ে, তাদের জন্য সব রেডি করা হল। হঠাৎ করে একটা কোর্ট কেস করে দেওয়া হল!''

উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলা ফের হাইকোর্টে যেতেই চটলেন মমতা, বললেন, 'এটা অন্যায়'
নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2021 | 6:35 PM
Share

কলকাতা: ‘চাকরি প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা চলছে।’ উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) মামলা প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, “বাংলায় একটা জিনিস দেখছি, যখনই ছাত্রছাত্রীদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট হচ্ছে, তখনই সঙ্গে সঙ্গে কোর্টে একটা কেস করে দিচ্ছে!”

বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা যারা করছে তারা অন্যায় করছে। আমার কোর্টের ব্যাপারে কিছু বলার নেই। কিন্তু এত ছাত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা উচিৎ নয়। তিন-চার বছর ধরে আমি দেখছি, ছেলেমেয়েগুলো অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাচ্ছে না!”

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই আইনি জটে আটকে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর গত ২১ জুন উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১০ শতাংশ পার্শ্বশিক্ষক সংরক্ষণ বাদ দিয়ে মোট ১৪ হাজার ৩৩৯ টি শূন্যপদে নিয়োগ হবে। কিন্তু এর মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছেন দুই চাকরি প্রার্থী জনৈক মৌমিতা মিত্র ও শেখ জামালউদ্দিন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের চেয়ে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা ইন্টারভিউর তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। কিন্তু তালিকায় তাঁদের নাম নেই।

এই প্রেক্ষিতে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এদিন মামলাকারীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, “কারা এই কোর্ট কেস করছে? এরা সমাজের বন্ধু? ছাত্রছাত্রীদের বন্ধু? চাকরি পেলে আমি কখনও দেখি না, এ পাচ্ছে না বি পাচ্ছে, নাকি সি নাকি ডি পাচ্ছে। চাকরি পাবে ৩৫ হাজার ছেলেমেয়ে, তাদের জন্য সব রেডি করা হল। হঠাৎ করে একটা কোর্ট কেস করে দেওয়া হল!” অর্থাৎ, এই মামলার পিছনে বিরোধী দলের সমর্থন রয়েছে বলে ইঙ্গিত করেন মমতা।

অন্যদিকে এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, “ত্রুটিহীন নিয়োগের ব্যবস্থা কেন করছে না রাজ্য সরকার?” এই মামলার পিছনে সরকারের অদূরদর্শিতাকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “এখন রাজ্য বলবে কী করব হাইকোর্ট দিচ্ছে না, আমার কিছু করার নেই। এভাবে অজুহাহ খাড়া করা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন বাংলার যুবসমাজ বঞ্চিত হবেন!”

আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা! উচ্চপ্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের 

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ব্যাকডোর দিয়ে চাকরি দিতেই মেধাতালিকায় ভুল হচ্ছে। সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই বারবার মামলা আর স্থগিতাদেশ।’ সব মিলিয়ে আবারও শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ আটকে রইল আদালতে।