‘বোঝাই যেত না অত বড় একজন মানুষ’, শেষ চার বছর একেবারে কাছ থেকে বুদ্ধবাবুকে দেখেছেন হরেণ
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বুদ্ধবাবুর পাশে ছিলেন ওই যুবক। তাঁকে খাবার দেওয়া, ওষুধ খাওয়ানো- সবটাই করতেন তিনি। অসুস্থ থাকায় খুব বেশি কথা না বললেও, তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হত বলে জানিয়েছেন হরেন। তাঁর সম্পর্কে নানা কথা জিজ্ঞেস করতেন বুদ্ধবাবু।
কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাইরে বেরতে পারতেন না। এমনকী কথাও বলতেন খুব কম। বাংলার বাম রাজনীতিতে তিনি ছায়ার মতো হয়ে থাকলেও বামেদের জন্য পথে নামতে পারেননি দীর্ঘদিন। দু-কামরার ফ্ল্যাটে ওষুধ আর বই ছিল সঙ্গী। এই শেষ কয়েক বছরে সবসময় তাঁর পাশে থাকতেন হরেন। হরেন অধিকারীই তাঁর দেখভাল করতেন সবসময়।
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বুদ্ধবাবুর পাশে ছিলেন ওই যুবক। তাঁকে খাবার দেওয়া, ওষুধ খাওয়ানো- সবটাই করতেন তিনি। অসুস্থ থাকায় খুব বেশি কথা না বললেও, তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হত বলে জানিয়েছেন হরেন। তাঁর সম্পর্কে নানা কথা জিজ্ঞেস করতেন বুদ্ধবাবু। হরেন বলেন, অত বড় একজন মানুষ, বোঝাই যেত না। একেবারে সাধারণ জীবন-যাপন করতেন।
বাবা-ছেলের মতো সম্পর্ক হয়ে উঠেছিল তাঁদের। হরেন বলেন, বুধবার রাতে খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন ঠিকমতো। প্রতিদিনের মতো শেষ পাতে দই ছিল তাঁর। শরীর ভাল না থাকায় বাইপ্যাপ দিতে হয়েছিল। তারপর তিনি একটু সুস্থ হন। বৃহস্পতিবার সকালেও প্রথমে আম, তারপর অন্যান্য খাবার খেয়েছিলেন তিনি। এরপরই শরীর হঠাৎ খারাপ হয়ে যায়।