
কলকাতা: ‘ব্যাগ গুছিয়ে ৯ দিনের জন্য বেরিয়ে পড়ুন। এই কদিন আর বাড়ি ফিরবেন না।‘ সোমবারের বৈঠক থেকে কার্যত এমনই নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআর-এর কাজ যখন প্রায় শেষের দিকে, তখন ১৩ জনের একটি টিম তৈরি করে দিলেন তিনি। ওই ১৩ জন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে দেখবেন এসআইআর কীভাবে হচ্ছে, বিএলএ-২ রা কীভাবে কাজ করছেন, অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে কি না।
তৃণমূলের যে সব নেতারা বিএলএ-২ হিসেবে কাজ করছেন, তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা যাতে ‘দিদির দূত‘ অ্যাপে সব তথ্য় আপলোড করেন। কিন্তু সেই কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিষেক। তাই সোমবারের বৈঠকে ১৩ জন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। প্রত্যেককে এক বা একাধিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২৬ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, একটানা ৯ দিন কাজের ময়দানে থাকতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন জেলায় কাজ তরাণ্বিত করার জন্য এই নেতাদের নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদেরকে বলা হচ্ছে ‘কো অর্ডিনেটর‘। ১০০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হলে তবেই নেতারা ফিরবেন। জেলায় জেলায় গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল যে সব ওয়ার রুমে তৈরি করেছে, সেখানেও যেতে হবে। ১৩ জন নেতার মধ্যে থাকছেন, অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, মানস ভুঁইয়া, প্রসূন বন্দ্য়োপাধ্যায়, বেচারাম মান্না, দিলীপ মণ্ডল, সুজিত বসু, ঋতব্রত বন্দ্য়োপাধ্যায়, উদয়ন গুহ, সামিরুল ইসলাম প্রমুখ।
বিজেপি মনে করছে, ভয় পেয়েই তৃণমূল এই সব পদক্ষেপ করছে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “যখন শিয়রে যম থাকে, তখন যে অবস্থা হয়, তৃণমূলেরও সেই একই অবস্থা। অবিশ্বাস, হতাশা আসতে শুরু করবে। এটা গৃহযুদ্ধের পূর্ব অবস্থা। এভাবেই তৃণমূল শেষ হয়ে যাবে।“