কলকাতা: তৃণমূলের অন্দরে রদবদল। এই জল্পনার মাঝেই সোমবার কালীঘাটে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের ন্যাশনাল ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে থাকবেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সংসদে শীতকালীন অধিবেশন রণনীতি ঠিক করতে বৈঠক বলে সূত্রের খবর। রাজ্যের কোনও ইস্যুকে হাতিয়ার করে কোন পথে নামবে তৃণমূল, তা ঠিক হবে এই বৈঠকে। ১২ টা সাংগঠনিক জেলা, ৭০ টি পুরসভায় তৃণমূলের রদবদল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সে বিষয়েও আলোচনা হতে পারে তৃণমূলের এই মিটিংয়ে।
তৃণমূল অন্দরের রদবদল নিয়ে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটা যে সঠিক সিদ্ধান্ত, তা পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচনের বিপুল জয়ের মধ্যেও সেটা প্রমাণিত হয়েছে।” যদিও এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “মুখ্য়মন্ত্রীর নেতৃত্বে এই বাংলা এগোয়নি, বরং একশো বছর পিছিয়ে গিয়েছে। কাউকে পাল্টে লাভ হবে না, একমাত্র লাভ হবে, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পরিবর্তন হলে।”
প্রসঙ্গত, ২৩ নভেম্বর রাজ্যে উপনির্বাচনের ফল। আর তারপরই রদবদলের তালিকা এক প্রকার চূড়ান্ত। রদ-বদলের শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি সাংগঠনিক জেলা। পরিবর্তন আসতে পারে পুরুলিয়া সাংগঠনিক জেলাতেও। বাঁকুড়া সংগঠন নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। উত্তরবঙ্গে সংগঠনে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পরিবর্তন হতে পারে দুই দিনাজপুরেও। এছাড়াও মালদহ জেলা সংগঠনে দ্বন্দ্ব নিয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করতে পারে দল। দার্জিলিং জেলা সমতলে সংগঠন দুর্বল। প্রভাব পড়ছে ভোটে। এই জেলা সংগঠন ও নজরে।