
কলকাতা: ভোটের আগে থেকেই বাঙালি অস্মিতা নিয়ে সরব রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকেই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। আজ ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ বিজেপি নেতাদের ক্ষমা চাইতে বলেছেন দেশবাসীর সামনে, যেহেতু তাঁরা বারেবারে বলে এসেছেন বাংলা অনুপ্রবেশকারীদের আতুঁড়ঘর। এরপর এ দিন মনরেগার নাম বদলানো নিয়েও তীব্র আক্রমণ অভিষেকের। এই ইস্যুতেও বাঙালি অস্মিতা অস্ত্রেই শান দিলেন তিনি।
মনরেগার নাম বদল নিয়ে চর্চা চলছে লোকসভায়। পেশ হয়েছে বিল। ‘মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপাওয়ারমেন্ট গ্য়ারান্টি অ্যাক্ট, ২০০৫’ বা মনরেগা। এবার আসন্ন নতুন বিলে এই প্রকল্পের নাম হয়েছে বিকশিত ভারত-গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজীবিকা মিশন (গ্রামীণ)। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ‘জিরামজি’। অভিষেক বলেছেন, গান্ধীজীকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দিয়েছিলেন খোদ রবীন্দ্রনাথ। অথচ সেই নামই বদলে দিচ্ছে বিজেপি। অভিষেক জানিয়েছেন, বিজেপি কতটা বাংলা-বিদ্বেষী এতা তারই প্রমাণ। এর আগে এই প্রকল্পের টাকা তাঁরা বাংলার জন্য বন্ধ করেছে। প্রচুর মানুষ কাজ করেও তারা টাকা পায়নি। এইভাবে বিজেপি বারেবারে বাংলাকে হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ।
এ দিন, ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ বলেন, “মনরেগার নাম পাল্টে দেওয়া হয়েছে। গান্ধীজীর নাম বাদ দিচ্ছে ওরা। মহাত্মা উপাধি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এখন সেই নামটাই পাল্টে দিচ্ছে। নতুন বিল এনেছে লোকসভা। ভাবুন কোনও রাম-শ্যাম যদু মধু নয়। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের এই উপাধি দিয়েছিলেন। অথচ তাঁর দেওয়া নাম কেড়ে নিয়ে নতুন নাম দিচ্ছে। জব কার্ড হোল্ডারকে বঞ্চিত করা। এই জন্যই আমরা বলি বিজেপি বাংলা বিরোধী।”